ঢাবি লাইভ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ক্যান্টিনে গরুর মাংস পরিবেশন করায় ভাঙচুর চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষার্থীরা সনাতন ধর্মের অনুসারি বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন। এতে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, শুক্রবার মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পর চারুকলার ক্যান্টিনে বিভিন্ন খাবার পরিবেশন করা হয়। যার মধ্যে ছিল গরুর তেহারি। এসময় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে ভাঙচুর চালান তারা।
খবর পেয়ে নববর্ষ উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এম আমজাদ আলী, চারুকলা অনুষদের ডিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্যান্টিন ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, গরুর মাংস পরিবেশন করা যাবে না এটি তিনি জানতেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এম আমজাদ আলী বলেন, এটি গভীর ষড়যন্ত্র। কী কারণে সেটা হয়েছে তা আমরা তদন্ত করে দেখব। এটা তদন্তাধীন আছে। ক্যান্টিন মালিককে আপাতত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নিসার হোসেন বলেন, জগন্নাথ হলের কিছু হিন্দু শিক্ষার্থীকে চাহিদা মাফিক খাবার না দেওয়ায় তারা এ কাজ করেছে। তাছাড়া এখানে মুসলমান ছেলেদের জন্য শূকরের মাংস আর হিন্দুদের জন্য গরুর মাংস পরিবেশন করা নিষেধ। এটা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নববর্ষ উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এঘটনায় দুষ্টচক্রের ষড়যন্ত্র আছে। এটি খতিয়ে দেখা উচিত।
ঢাকা, ১৪ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: