লাইভ প্রতিবেদক : আর কোন সাংবাদিক নির্যাতন হবে না। এমন ভুল আর হবে না। সাংবাদিক নির্যাতন করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ভুল স্বীকার করে এভাবেই ক্ষমা প্রার্থনা করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পর্ষদ।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলেন, আগামীতে ছাত্রলীগ কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) সারাদেশে কোনো সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না এবং ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ছাত্রলীগের ক্ষমা প্রার্থনা, অনুশোচনা এবং অঙ্গিকারের ফলে সংগঠনটির ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সংবাদ বর্জন বলবৎ ছিল।
সমিতির দফতর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদারসহ সিনিয়র নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির’র সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আসেন। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বৃহস্পতিবার সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে একটি লিখিত বিবৃতি দেন।
এদিকে ছাত্রলীগের ক্ষমা প্রার্থনা, অনুশোচনা এবং আগামীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মারধরের মতো জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকার অঙ্গিকারের ফলে ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ছাত্রলীগের ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই মার্চ বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের কক্ষ দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন বার্তা সংস্থা ইউএনবি‘র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইমরান হোসেন।
সাংবাদিক সমিতি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ১৬ মার্চ রাত ১০টায় সমিতির এক জরুরি সভায় ছাত্রলীগের ‘ইতিবাচক সব সংবাদ ও কর্মসূচী’ বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঢাকা, ১৪ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: