গণবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি হন নি। বাবার ইচ্ছা মেয়ে আইন নিয়ে পড়বে। ভর্তি হন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কথাগুলো বলছিলেন মানিকগঞ্জের মেয়ে মার্জিয়া সুলতানা। ২০১২ সালে এস.কে সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং মানিকগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজ থেকে ২০১৪ সালে এইচএসসি পাস করে ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। নাচের প্রতি ভালবাসা থাকায় ছোট থাকতে পরিবার থেকে মানিকগঞ্জ শিশু একাডেমীতে ভর্তি করে দেন। এখান থেকেই হাতেখড়ি নাচের।
স্কুল-কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ-কবিতায় মেলে ধরেছেন নিজের প্রতিভাকে।
নিজের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চ, ব্র্যাক, আশা, দেবেন্দ্র কলেজ, ধানমন্ডি রবিন্দ্র সরবর, মানিকগঞ্জের বিজয় মেলা এবং সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু আন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ক্লাসিক্যাল নৃত্য পরিবেশন করে সবায় কে মুগ্ধ করেছেন। এসব সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ ও ক্লাসিক্যাল নৃত্যে সেরা ও রানারআপ হয়ে নিজের ঝুলিতে পুরেছেন নানা পুরস্কারও।
তিনি জানান, আমি পুরস্কারের জন্য কাজ করি না। তবে পুরস্কার কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। উত্সাহ পাই ভালো কিছু করতে। এখন তিনি মানিকগঞ্জের শিল্পরত সংগঠনে নিজেই নাচের তালিম দেন। মেয়েটা ভাল ভায়োলিন ও বাজাতে পারতো কিন্তু বাবা মারা যাবার পর থেকে আর বাজানো হয় না।
তৃতীয় বর্ষে পড়া হাস্যজ্বল চেহারার এই মেয়েটিকে ছোট-বড় সবাই চেনে ক্যাম্পাসে। তাকে ছাড়া যেন ক্যাম্পাসে বন্ধু-বান্ধবের আড্ডা কোনো কিছুই সম্পূর্ণ হয় না। আর তার এই সবকিছুর পিছনে যাদের উত্সাহ বা অবদান তা সম্পূর্ণ বন্ধু-বান্ধব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পরিবারের।
আইনের শিক্ষার্থী হলেও মার্জিয়া ক্যারিয়ার গড়তে চান কোরিওগ্রাফিতে। ইচ্ছা আছে নাচের স্কুল খোলার। শুধু নিজের জন্যই নয় ভাবেন সাধারণ মানুষের কথাও। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
ঢাকা, ১০ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: