Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ঢাবির ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বার ২০২১, ২৩:৪১

ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ‘গেস্টরুম’ বন্ধ হওয়ার খুশিতে ‘ঈদ মুবারক’ এবং ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাদেরকে মারধর করা হয়েছে বলে এ অভিযোগ ওঠে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় স্যার এ এফ রহমান হলের ১০৮ নং কক্ষে তাদের মারধর করা হয়। সম্প্রতি স্যার এ এফ রহমান হলে রবিউল ইসলাম নামে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর সমালোচনার মুখে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সাজু ওই হলে গেস্টরুম বন্ধের নির্দেশ দেন।

সেই সংবাদ শুনে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ‘ঈদ মোবারক’ ও ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে পোস্ট দেন মারধরের শিকার ওই পাঁচ শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরে প্রথম বর্ষের সবাইকে পুনরায় গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে তাদের মধ্য থেকে ভুক্তভোগীদের সিনিয়ররা বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন ও রুবেল হোসেন, ফিন্যান্স বিভাগের ইমদাদুল ইসলাম ইমন এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বুলবুল আহমেদ ও রানা হামিদ। তারা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

মারধরকারী শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী লালন হোসাইন, মার্কেটিং বিভাগের আরিফুল ইসলাম আলিফ ও আসিফ হোসাইন এবং সঙ্গীত বিভাগের ওয়াজিদ তাওসিফ। অভিযুক্তরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের অনুসারী। আর হলের অভ্যন্তরে তারা হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজুর ছোটভাই হিসেবে পরিচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হলের এক শিক্ষার্থী জানান, ছাত্রলীগ নেতা সাজু গেস্টরুম বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পরে খুশি হয়ে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী ফেসবুকে পোস্ট দেন। এরপরে রাত ১০টায় তাদের বর্ষের সবাইকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে প্রথমে গালাগালি করে। পরে ছাত্রলীগ নেতা লালন হোসাইন প্রথম বর্ষের কয়েকজনকে চড় মারেন। তারপর বাকিদের বের করে দিয়ে আল আমিন, রুবেল, বুলবুল, রানা ও ইমনকে মারধর করেন অভিযুক্তরা।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত লালন হোসাইন বলেন, আমাদের হলে এ ধরনের ঘটনা কখনও ঘটেনি। আপনারা ইনভেস্টিগেশন করুন, তাহলে ঘটনার সত্যতা জানতে পারবেন।

অপর অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম আলিফ বলেন, আমাদের হলে এ রকম কোন ঘটনা রাতে ঘটেনি। আপনারা চাইলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। এ রকম ঘটনা আমাদের হলে অসম্ভব।

মারধরের বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজু বলেন, আমি এই বিষয়টি জানতাম না। কিছুক্ষণ আগেই এ সম্পর্কে জেনেছি। কেন তারা এটি করলো তা আসলে আমি বুঝতে পারছি না। আমি সবার সাথে বসেছিলাম, প্রথম বর্ষের কেউই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছে না। আবার দ্বিতীয় বর্ষের কেউও এসব স্বীকার করতে চাচ্ছে না। আমরা তবুও সবাইকে সাবধান করে দিয়েছি যাতে এ রকম ঘটনা আর না ঘটে।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটা শুনেছি, ছাত্রলীগের কেউ যদি নীতিবিরোধী ও সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজ করে তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।


ঢাকা, ২০ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ