Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

মোস্তাফিজের আউট: ঢাবির এএফ রহমান হলে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:১৭



ঢাবি লাইভ: বিজয়ের উৎসবে মেতে টাইগারদের টি-টুয়েন্টি কাপ্তান মাশরাফি মুর্তাজাকে বিদায় জানাতে যখন ব্যস্ত ক্রিকেট ভক্তরা, ঠিক তখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ।

বৃস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে হলের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের পাঁচ কর্মী আহত হয়। ভাঙচুর করা হয় তিনটি কক্ষ। ছিনতাই হয় একটি ল্যাপটপ।
    
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলের টেলিভিশন কক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলা দেখার পাশাপাশি মোবাইলেও ধারাভাষ্য শুনছিলেন কেউ কেউ। সাধারণত টেলিভিশনে দেখার আগেই ধারাভাষ্যের মাধ্যমে জানা যায় পরবর্তী বলে কী হতে যাচ্ছে।

খেলার শেষ দিকে মোস্তাফিজের পরপর দুই উইকেট নেওয়ার সময় টেলিভিশনে বল দেখার আগেই কেউ কেউ ‘আউট’ বলে চেঁচিয়ে উঠেন।

আর এ নিয়ে একাধিকবার হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষারের অনুসারীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে তুষারের অনুসারী পাঁচকর্মী আহত হয়েছেন। হলের ৪২১, ৩০৪ এবং ৩০৬ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর ছাড়াও একটি ল্যাপটপ ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেয় বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজু আহমেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রাশেদ রাজন (প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে জেলে ছিল), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সাজু ও রকিব হাসান, হলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মনজুর আহমেদ রানা।

এদের সবাই হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমানের অনুসারী। হাফিজ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের অনুসারী ও তুষার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের অনুসারী।

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন- দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সাইফুল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের রাজিব, সমাজ কল্যাণ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আপেল, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আফজাল এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের আফছার।

এদের মধ্যে সাইফুল গুরুতর আহত হয়েছেন। তার নাক ফেটে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। আহতদের শুরুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, যারা এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কাজে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

স্যার এ এফ রহমানের হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আমি বাইরে ছিলাম। যার ফলে এ মহুর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না।

 

ঢাকা, ০৭ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ