ঢাবি লাইভ: সরকার শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলেও, বাস্তবতা একদম পরিস্কার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে করোনাকালীন সরকারের অব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা একথা বলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে "বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যাবস্থা" বলে আখ্যায়িত করে বলা হয়, সরকার অনলাইন শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রণয়ন করলেও বাংলাদেশের নিম্ন-আয়ের যে বিপুল সংখ্যক কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ রয়েছে তাদের সন্তানদের জন্য সরকার উপযুক্ত ডিভাইস এবং ইন্টারনেটের কোনো ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি এবং প্রান্তিক অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের কোনো ব্যাবস্থাও সরকার গ্রহণ করেনি। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী-ই অনলান ক্লাস এবং অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি আর যারা অংশগ্রহণ করেছে তারাও সম্মুখীন হয়েছে অনেক সমস্যার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, করোনার আগে দেশে যে ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন, প্রি-স্কুল ও প্রিপ্রিপাটোরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল সেগুলোর এক-তৃতীয়াংশই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এছাড়াও, টিউশন ফি মওকুফ এবং ব্যাক্তি মালিকানায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পাশাপাশি জাতীয় বাজেটের ২৫% শিক্ষাখাতের জন্য বরাদ্দ দেয়ার দাবি করা হয়েছে।
এ সময় তারা তাদের তিন দফা দাবি জানান এবং আগামী ২৮-ই সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা দেন। দাবিগুলো হল-
১। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন সকল বেতন ফি মওকুফ করতে হবে।
২। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বৃত্তি প্রদান করে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে আসার প্রণোদনা
৩। অন্তত আগামী ১ বছরের সকল বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠ করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি অনিক রায়, জহর লাল রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মিখা পিরেগু, সহকারী সাধারণ সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চল, ক্রীড়া সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার, কার্যকরী সদস্য জয় রায় ও ফাহিম পবন।
ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএইচটি//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: