বশেমুরবিপ্রবি লাইভ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত সেই গতিরোধক এর কাজ সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিগত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বারবার ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এজন্য গত ১৮ মার্চ ২০১৭ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাতে নেয় গতিরোধকের নির্মান কাজ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে চলে গেছে ঢাকা-পিরোজপুর মহাসড়ক। আর এ সড়কটিতে চলাচল করে বাস,ট্রাক,ট্রলি সহ নানা যানবাহন। প্রতিদিন পাঁচ হাজারেরও বেশী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের এই সড়ক অতিক্রম করতে দেখা যায়। সড়ক দিয়ে বেপরোয়া ভাবে যানবাহন গুলো চলাচলের কারনে ঘটে চলছিলো নানা রকম দুর্ঘটনা, যেরূপ এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রান হারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান।
পরবর্তীতে কিছুদিন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অন্য এক দুর্ঘটনায় মারাত্বক ভাবে আহত হয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাএী সূবর্ণা মজুমদার। এ সময় শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ সহ ৫ দফা দাবী পেশ করে। ৫ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গতিরোধক স্থাপন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি মেনে নিয়ে সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবহিত করার পরও দেখা মেলেনি গতিরোধকের।
এর ফলে পুনরায় দুর্ঘটনার শিকার হয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র শাওন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করে এই গতিরোধক এর কাজ । এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আশিকুর রহমান ভুঁইয়া কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান "মহাসড়ক গুলোতে সড়ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন গতিরোধক দেয়া হয়না, তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজস্ব অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে গতিরোধকের নির্মান কাজ সম্পন্ন করেছে"।
এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত কাজী জানান ‘আগে রাস্তা পার হতে ভীষণ ভয় লাগত। আমাদের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন আমাদের প্রতি সদয় হওয়ায় এখন আমরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারছি এবং আমাদের দুর্ঘটনার আশংকা অনেকটা কমেছে’।
ঢাকা, ০২ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: