গণবি লাইভ: বছর ঘুরে আবার এলো স্বাধীনতার মাস। স্বাধীনতা আমাদের কোটি প্রাণের চাওয়া ছিল। ১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে দীর্ঘ নয় মাসে মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে। তবে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এই অধরা স্বাধীনতাকে ঘিরে ছিল বাংলার মানুষের নানা স্বপ্ন। এই স্বাধীনতার ৪৬বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। ৪৬বছর পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আমাদের স্বপ্নের কতটা পূর্ণতা দিতে পেরেছি। এ নিয়ে নানা মতভেদও তৈরি হতে দেখা যায় নানা জনের মধ্যে।
২৬ মার্চ, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। আর এ মাসে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের আবেশ। নিয়মিত ক্লাস, ক্লাস-টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির মাঝেও অবিরাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আড্ডা হয় প্রতিটি ক্যাম্পাসেই কিন্তু স্বাধীনতা নিয়ে আড্ডা খুব কমই চোখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে।
স্বাধীনতার পর আমরা আসলে কী পেয়েছি আর কী পাইনি এ নিয়ে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের একদল তরুণ শিক্ষার্থীরা সেদিন ক্লাসের ফাঁকে আলোচনায় মেতেছিলেন।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী, বোরহানুল কবির তোহা বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সুবিধাগুলো আমরা ঠিকভাবেই পেতে শুরু করেছি। আমাদেরকে স্বাধীনতার মূলনীতিগুলো ধরে রেখে এগোতে হবে। তাহলেই স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল আমরা পাবো।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী তনুজা চক্রবর্তী জানান, আমি মনে করি আমরা সঠিক জায়গাতেই আছি। আর প্রত্যেকেই যদি নিজের অবস্থান থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি তাহলেই স্বাধীনতার মূল সৌন্দর্যে সাজাতে পারব আমাদের দেশ।
ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী পিউ রায় চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে আমি ছিলাম না। তবে ইতিহাস থেকে যা জেনেছি তার ভিত্তিতে বলতে পারি আমরা তখনকার সময়ের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছি।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী হ্যারিসন জানান, আসলে স্বাধীনতার পর আমরা কিছুই পাইনি এই কথার পক্ষে আমি নই। সব কিছুর মধ্যেই কিছু না কিছু অসঙ্গতি থাকবে। পৃথিবীর কোনো কিছুই শতভাগ সফল হয় না। আর আমাদের স্বাধীনতা তো একটা বিশাল ব্যাপার। আমি মনে করি আমরা উন্নতির পথে এগোচ্ছি। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহবিন আক্তার মুসফিকা বলেন, আমরা যখন দেখি আমাদের ছাত্ররা অধ্যয়নের সঠিক পরিবেশ পাচ্ছে না, তখন আমি কিছুতেই ভাবতে পারি না আমরা কী সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছি?, আফসোস! নামে আমরা স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার সুফল আমরা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছি।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান খান রনি বলেন, মার্চের দিনগুলোতে আমাদের অনেক অর্জন আছে, তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক ভাষণ ও ২৬ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণার পর লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এ দেশ। তাই স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সি এস ই বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ মিস্ত্রী জানান, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেছি আমরা। তারপরও হয়তো সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ পেতে আমাদের আরও অনেকদিনের প্রয়োজন হবে। তবে যে যাই বলুক না কেন সবার প্রত্যাশার জায়গা একটাই। ‘একটি সোনার বাংলাদেশ।
ঢাকা, ২৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: