গণবি লাইভঃ সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার কালো রাতের ভয়াল স্মৃতির স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এসময় প্রতীকী কালো ব্যাজ ধারণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন এসময় সংহতি প্রকাশ করে এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে ২৫শে মার্চ কালো রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর শিকার বাংলাদেশের ঘুমন্ত সাধারণ জনগণ, ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানায়।
দিবসটি পালনে একাত্মতা প্রকাশ করে মোমবাতি হাতে সম্মিলিতভাবে উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস), সমকাল সুহৃদ সংঘ, কালের কণ্ঠ শুভ সংঘ, পরিবেশ ক্লাব, কনজ্যুমার ইউথ সোসাইটি, বাংলাদেশ।
দিবসটি উপলক্ষে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি শাহীনুর আলম বলেন, ‘২৫শে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আয়োজন করায় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।’
কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের সভাপতি রানা মিত্র বলেন, ‘নানা ষড়যন্ত্র করেও বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে প্রতিহত করতে না পেরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাঙালিদের নিশ্চিহ্ন করতেই ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদাররা এ দেশের গণমানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তাদের জঘন্য এ হত্যাযজ্ঞে হাত মিলিয়েছিল তাদের দোসর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তণ শিক্ষার্থী সামহা সাঈদ সুমা বলেন, ‘গণহত্যা দিবস’ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ৩০ লাখ বাঙালির আত্মত্যাগের মহান স্বীকৃতির পাশাপাশি তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধেও চরম প্রতিবাদের প্রতীক।’
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সি.এস.সি বিভাগের সাঈদ বলেন, ‘একাত্তরের কাল রাত ২৫শে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস' হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করুক৷'
উল্লেখ্য, ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৫ মার্চ কালরাতের তথ্য-উপাত্ত জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে বাসসকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
ঢাকা, ২৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: