Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

আজ বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২১, ২১:১১

সামিয়া সুলতানা: আজ বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস বা World Biodiversity Day। ১৯৯৩ সালের শেষ দিকে দিবসটি পালনের জন্য ২৯ ডিসেম্বর দিনটিকে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে এই দিবস পালন বন্ধ করে দিলে ২০০২ সালে ২২ মে দিনটি পালনের জন্য দিবসটি পুনঃনির্ধারণ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। মূলত ১৯৯২ সালের ২২ মে কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জীববৈচিত্র্য বিষয়ক কনভেনশনে দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

‘উই আর পার্ট অব সলিউশন ফর নেচার’ অথবা ‘আমরা প্রকৃতির সমাধানের অংশ’ এই প্রতিপাদ্যটি নিয়ে এই বছরের দিবসটি পালন করা হচ্ছে। মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতি এই তিন অবায়বীয় উপাদানের সমন্বেয়ই আমাদের এই পৃথিবী। এছাড়া রয়েছে বায়বীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীব ও উদ্ভিদ। আমাদের এই পরিবেশ বা বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে এই বিভিন্ন ধরনের জীব (এককোষী প্রাণী থেকে বহুকোষী প্রাণী) এর যে ভিন্নতা বা বৈচিত্র্যতা লক্ষ্য করা যায় তাই জীববৈচিত্র্য।

আর প্রাকৃতিক নিয়মানুযায়ী এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে সবসময়ে এক প্রজাতিকে অন্য এক প্রজাতির উপর নির্ভর হয়ে চলতে হয়। এজন্য সেরা জীব হিসাবে খ্যাতি লাভ করা মানবজাতিকেও নিজের অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য জীববৈচিত্র্য এর উপর নির্ভর হতে হয়। ডারউইনের তত্ত্বমতে, যেইখানে জীববৈচিত্র্য এর অস্তিত্ব নেই সেইখানে জীবের বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সর্বোচ্চ। তাই জীবের অস্তিত্বের জন্য জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিষয়টি আজ অত্যাআশকীয় হয়ে গেছে।

জীববৈচিত্র্যের দৃশ্য

 

আমাদের বাংলাদেশে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, রয়েছে অসংখ্য জলাভূমি, নদী, পাহাড়ি অঞ্চল, বিস্তীর্ণ সমুদ্র, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের মতো প্রবাল দ্বীপ, যা জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। কিন্তু আমরা নিজেরাই নিজেদের অজান্তেই এসব জীববৈচিত্র্যের ধ্বংস করে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত খাদ্য ও বসবাসের জায়গার জন্য বন জঙ্গল ও গাছপালা কেটে ফেলছি, নদীতে বাঁধ দিচ্ছি।

এছাড়া আমরা বালু বা কংক্রিট দিয়ে মাটি ঢেকে দিচ্ছি, যানবাহন ও চলাচলের জন্য ব্যাপকহারে জ্বালানি ব্যবহার করছি, উন্নত জীবন যাত্রার জন্য বন্য প্রাণীর আবাস উজাড় করছি। বন বিনাশ, পিটিয়ে মারা, শিকার, বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত, পর্যাপ্ত খাবার ও প্রাকৃতিক বন্যা, মহামারি, দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড় ও আশ্রয়ের অভাবে এসব প্রাণীর সংখ্যা দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু আমরা চাইলেই সহজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জীব বৈচিত্র্যের অস্তিত্ব ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারি।

জীবনের তাগিতে যতটুকু প্রকৃতির ব্যবহার প্রয়োজন ততটুকুই করা উচিত। অযথা অপচয় করে মানবজাতিকে ধ্বংসের পথে পাঠানো উচিত নয়। সেজন্য বনজসম্পদ যেমন- বন্যপ্রাণী, মাছ, পশুপাখি ইত্যাদি দেখলেই অযথা শিকার বা ভোগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সুন্দরবনের বন উজাড় না করে এর সঠিক পরিচর্চার মাধ্যমে একে টিকিয়ে রাখতে হবে।ফলে সুন্দরবনের ওপর নির্ভর করা অন্য যেসব প্রাণীকুল আছে, তাও টিকে থাকবে যা আমাদের মানবজাতির অস্তিত্ব ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

এভাবেই আমরা পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে প্রকৃতির সমস্যা সমাধানের এক ক্ষুদ্র অংশ হতে পারব।

লেখকঃ শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।

ঢাকা, ২২ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ