লাইভ প্রতিবেদক: কলেজ শিক্ষকের এ কেমন শাসন ? যে শাসনের কারণে আজ ছাত্রের অমূল্য সম্পদ চোখের জ্যোতি আর ফিরে পাচ্ছে না। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের সাবেক ছাত্র মিরাজ হোসেন শাওনের ভাগ্যে।
ওই ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মিরাজ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ থেকে গত বছর এসএসসি পাস করার পর উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়েছে। গত ১৫ মার্চ সকালে শাওন তাদের টঙ্গী কলেজ রোডের বাড়ি থেকে উত্তরায় কলেজে যাচ্ছিল। পথে তার বন্ধুর কাছ থেকে নোট শিট নেওয়ার জন্য পাইলট স্কুল অতিক্রম করে সুলতানা রাজিয়া রোডে যাচ্ছিল। সে পাইলট স্কুলের গেট দিয়ে ভেতরের রাস্তায় প্রবেশ করতেই পেছন দিক থেকে দারোয়ানরা তাকে টেনে ধরে এবং স্কুলের রাস্তা দিয়ে যেতে নিষেধ করে।
শাওন দারোয়ানদের অনুরোধ জানিয়ে বলে, কলেজের সময় হয়েছে ঘুরে গেলে আমার ক্লাশের সময় শেষ হয়ে যাবে। দয়া করে আমাকে যেতে দিন। এ সময় ওই স্কুলের শিক্ষক শাহাবুদ্দিন সজিব গিয়ে শাওনকে কিলঘুষি ও লাথি মারে। পরে তাকে টেনে হিঁচড়ে ভেতরে অধ্যক্ষের অফিসের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে শিক্ষক সজিব অধ্যক্ষের সামনেই তাকে মোটা বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এতে ডান চোখ দিয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে স্কুল গেট দিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয়।
পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সিটি চক্ষু হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকায় ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় শাওনের মা বিলকিস সুলতানা ১৬ মার্চ অভিযুক্ত শিক্ষক সজিবের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু পুলিশ গত তিন দিনেও অভিযোগ আমলে নেয়নি।
তবে টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া বললেন ভিন্ন কথা। তিনি শিক্ষকের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, ঘটনার দিন ছাত্রীদের ছুটি হওয়ার সময় শাওন তাদের উত্ত্যক্ত করার উদ্দেশ্যে স্কুলের গেট দিয়ে ভেতরে ঢোকে।
তখন দারোয়ান বাধা দিলে সে দারোয়ানদের সঙ্গে উচ্চ বাচ্য করে এবং এক পর্যায়ে মারতে যায়। পরে ছাত্ররা তাকে ধরে নিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় শিক্ষকের কোন দোষ নেই।
ঢাকা, ২১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: