Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রবিবার নর্থ সাউথ সোস্যাল ক্লাবের রক্তদান কর্মসূচি

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০১৭, ০১:২৫

 

এনএসইউ লাইভ: নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনাএসইউ) নর্থ সাউথ সোস্যাল সার্ভিসেস ক্লাব প্রতি বছরের মত এবারেও রক্তদান কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে। আগামী কাল ৫,৬ ও ৭ মার্চ এই কর্মসূচী লালন করা হবে। এ কর্মসূচি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসেই করা হবে।

রক্তদানে ঊৎসাহিত করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। এর সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে কোয়ান্টাম ফাঊন্ডেশন। ১৯৯৮ সালে ৫০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করার পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিবছর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সোস্যাল সার্ভিসেস ক্লাব এই কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরপর ২০১৫ সালে এসে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৪০ ব্যাগে। আর গত বছর সংগ্রহ করা হয় ১০৪৭ টি ব্যাগ রক্ত।

কোয়ান্টাম ফাঊন্ডেশনের তথ্য মতে সবচেয়ে বেশি রক্ত তারা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সোস্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের কাজ থেকে সংগ্রহ করে থাকে।

ক্লাবটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ মুজতাবা সিদ্দিকীর কাছে এর কাছে রক্তদান কর্মসূচি সম্পর্ক জানতে চাওয়া হলে তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, একজন পুরুষের শরীরের ওজনের প্রতি কেজিতে ৭৬ মিলি (মিলি-লিটার) রক্ত থাকে এবং একজন মহিলার শরীরের ওজনের প্রতি কেজিতে ৬৬ মিলি রক্ত থাকে।

কিন্তু একজন মানুষের শরীরে প্রতি কেজিতে প্রয়োজন ৫০ মিলি রক্ত। তাহলে পুরুষের শরীরে রয়েছে প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত (৭৬-৫০=২৬) মিলি রক্ত এবং মহিলার শরীরে প্রতি কেজিতে (৬৬-৫০=১৬)মিলি অতিরিক্ত রক্ত।

রক্তদান করলে এই অতিরিক্ত রক্ত থেকে প্রতি কেজিতে ৮ মিলি রক্ত নেয়া হয়। অর্থাৎ রক্তদানের পরেও পুরুষের শরীরে অতিরিক্ত রক্ত থাকছে প্রতি কেজিতে (২৬-৮=১৮)মিলি রক্ত এবং মহিলার শরীরে (১৬-৮ =৮) মিলি রক্ত।

মানে রক্তদানের পরেও ৫০ কেজি ওজনের একজন পুরুষ রক্তদাতা এবং মহিলা রক্তদাতার শরীরে যথাক্রমে থাকছে অতিরিক্ত (৫০ x ১৮ =৯০০)মিলি রক্ত এবং (৫০ x ৮ =৪০০)মিলি রক্ত।

তিনি আরও বলেন, সুতরাং রক্তদানের পর আমি/আপনি রক্তশূন্যতায় মারা যাবো না। কারণ রক্তদানের পরেও প্রয়োজনীয় রক্তের থেকেও 'অনেক' বেশি পরিমান রক্ত আপনার শরীরে থাকছে।

একজন ৫০ কেজি ওজনের মানুষ দুশ্চিন্তামুক্ত ভাবে খুব সহজেই রক্তদান করতে পারেন। রক্তদানের পর ২০ মিনিট বিশ্রাম নিবেন, পরবর্তী ২৪ ঘন্টা প্রচুর পরিমানে পানি খাবেন। ব্যাস, আর কিছু লাগবে না। আমরা এই ধরণের কথা গুলো সকলকে বুঝাতে চেষ্ঠা করছি। যাতে সবাই রক্ত দানের মত মহৎ কাজে আগ্রহী হয়ে উঠে।

ক্লাবের বর্তমান জেনারেল সেক্রেটারি আসিফ মাহমুদ ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী এখন দেশে মানুষের গড় আয়ু ৬৯ বছরের বেশি। ১৮ থেকে ৬০ বছরের সুস্থ দেহের মানুষ রক্তদান করতে পারেন।

একজন মানুষ যদি ১৮ বছর বয়স থেকে রক্তদান করে তাহলে সে (১৮ বছরের শুরু থেকে ৬০ বছরের শেষ পর্যন্ত =৪৩) বছর রক্তদান করতে পারেন। যদি প্রতি ৪ মাস পর পর রক্তদান করেন, বছরে ৩ বার। তাহলে সারাজীবনে (৪৩X৩=১২৯) বার রক্তদান করতে পারবে।

আর ১২৯ বার রক্তদান করার অর্থ হল ১২৯ টি মুমূর্ষু প্রাণ বাঁচানো। রক্তদানে সেঞ্চুরী করা অসম্ভব নয়। ইচ্ছা এবং চেষ্টা থাকলে সেঞ্চুরী করা সম্ভব।

ক্লাবটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিউল কবির রোকন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, রক্তদানে ভয়ের কিছু নেই। রক্তদান পুরো প্রক্রিয়াটি নিরাপদ। একজন বিশেষজ্ঞ সবসময় পাশে থাকেন। তাছাড়া রক্তদানে আছে অনেক উপকারিতা, রক্তদান করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়। সূচের ভয়? সুচ ফোটানোর হালকা ব্যাথা অনুভব করবেন, পিঁপড়ার কামড়ের মতো। ভয়ের কিছু নেই। "হালকা সুইয়ের খোঁচার বিনিময়ে একজন মানুষের জীবন" এই ব্যাথা একদমই নগণ্য।

ক্লাবের বর্তমান সেক্রেটারি মাইসা মালিহা খান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, নেই হারাবার কোনও ভয়, নতুন প্রাণের সঞ্চয়, নিজের রক্ত বইছে অন্যের শিরায়, মানবতার এইতো পরিচয়"

 

ঢাকা, ০৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড

 

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ