লাইভ প্রতিবেদক : সরকারি কবি নজরুল কলেজে শতাধিক শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের টাকা গায়েব করে দেয়া হয়েছে। অভিযোগের তীর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিকে। কারণ অনুসন্ধানে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে টাকা জমা দিলেও কলেজের হিসাব শাখায় তা জমা হয়নি। এ অবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছে পুনরায় ফি দাবি করলে জটিলতা তৈরি হয়। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের টাকা লাপাত্তা হওয়ার জন্য কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে দায়ী করছে।
কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মুক্তি রানী সাহা বলেন, কলেজে অধ্যক্ষ নেই। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর হিসাব বিভাগে খোঁজ নিয়ে লেনদেনের গরমিল পাই। পরে দেখতে পারি কিছু ছাত্রের টাকা জমা হয়নি। এটা কীভাবে হয়েছে জানি না। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে।
ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজের সামনে লক্ষ্মীবাজারে একটি ব্যাংকে ভর্তি ও ফরম পূরণসহ অন্যান্য ফি’র অর্থ জমা দিতে হয়। সাধারণত যখনই টাকা জমা দেয়ার সময় আসে, তখনই ছাত্রলীগের একটি অংশ ব্যাংকে চেয়ার নিয়ে বসে যায়। তাদের কাছ থেকে সিরিয়াল নিয়ে টাকা জমা দিতে হয়। সর্বশেষ গত মাসে ডিগ্রি ও মাস্টার্সের ভর্তির সময়েও এমন ঘটনা ঘটে। সিরিয়াল নেয়ার সময় প্রত্যেককে সর্বনিন্ম ৩০০ থেকে এক হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগের ওই অংশ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। কলেজের একাধিক শিক্ষকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কলেজের হিসাব বিভাগে এসব ছাত্রছাত্রীর টাকা জমার যে রসিদ দাখিল করা হয়েছে, তাতে ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর আছে। এ ব্যাপারে কলেজের একজন সহযোগী অধ্যাপক বলেন, ওই সিল ও স্বাক্ষর এখন পর্যন্ত জাল বলে তারা প্রমাণ পেয়েছেন। কলেজের আরেকজন শিক্ষক জানান, এ বছর ভর্তি ফি স্নাতকে সর্বনিন্ম ৩২০২ টাকা এবং স্নাতকোত্তরে সর্বনিন্ম ৩৮০০ টাকা ধার্য করা হয়। এর মধ্যে ১১৬ শিক্ষার্থীর ভর্তির অর্থ জমা হয়নি কলেজ তহবিলে। টাকার অংকে এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। তবে কলেজের উপাধ্যক্ষ বলেন, এ সংখ্যা ২০-২২ জন হবে।
ঢাকা, ০৩ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: