Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বশেমুরবিপ্রবিতে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, ০৩:৪৩

 



বশেমুরবিপ্রবি লাইভ: গোপালগঞ্জে শিক্ষিত তরুণ প্রজম্মের স্বপ্নের প্লাটফর্ম আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) গ্যারেজে অনুষ্ঠিত আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক শেখ ফজলে ফাহিম।

অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মমিনুর রহমান, এলআইসিটি প্রোজেক্টের কম্পোনেন্ট টিম লিডার (আইটি/আইটিইএস) সামী আহমেদ, এলআইসিটি প্রোজেক্টের কমিউনিকেশনস স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম, ওমেন ইন ডিজিটাল এর গ্রাফিক ডিজাইনার সামিয়া আফরিন মিথিলা প্রমুখ।

প্রধান অতিথি শেখ ফজলে ফাহিম তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের অনেকের মধ্যে একটা ধারনা কাজ করে যে, আইটি সেক্টরের কাজ শুধু হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু আসলে তা নয়। আধুনিক বিশ্বে প্রোডাক্ট উৎপাদন থেকে শুরু করে কোয়ালিটি নিশ্চিত করা, সেই প্রোডাক্ট গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কাজেও আইটি অনেক ভূমিকা রাখছে।

এক কথায় গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে আইটির ভূমিকা অপরিসীম। তিনি আরো বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে আপনার টিকে থাকা, নিজেকে প্রমাণ করতে হলে আইসিটির বিকল্প নেই। আজকের চোখে আগামীর বিশ্ব দেখতে হবে। আর এই আগামীর বিশ্ব দেখাবে আইটি সেক্টর। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটা দেশের মূল চালিকা শক্তি তরুণ সম্প্রদায়। আমরা সেই দেশে বাস করি যে দেশের বড় অংশ বয়সে তরুণ। এই তরুণদের কাজে লাগিয়ে একদিন সুপার শক্তিতে পরিণত হওয়া সম্ভব।

এসময় তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জনবল। দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

সরকার ২০২১ সালের মধ্যে আইটি পেশাজীবির সংখ্যা বর্তমান সাত লাখ থেকে ২০ লাখে উন্নীত করতে চায়। এজন্য নানামূখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আইটি শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী এলআইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইটিতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৪৫ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। দেশব্যাপী অব্যহত রয়েছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

এছাড়াও চলমান রয়েছে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির প্রশিক্ষণ। তাছাড়া বিসিসিতে অব্যাহতভাবে তথ্য প্রযুক্তির নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, আইসিটি ডিভিশনের অধীনে এলআইসিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারাদেশ ব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারপ্রান্তে যে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে। একই সাথে তরুণ সমাজকে আইটিতে তাদের ভবিষ্যত গড়ারও আহবান জানান।

এলআইসিটি প্রোজেক্টের কম্পোনেন্ট টিম লিডার (আইটি/আইটিইএস) সামি আহমেদ তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে হলে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

এলআইসিটি প্রোজেক্টের কমিউনিকেশনস স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা আইটিতে অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অনলাইন কুইজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে একজন বিজয়ী শিক্ষার্থী ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী মধ্য থেকে একজন শিক্ষার্থীকে উই মোবাইলের সৌজন্যে একটি করে স্মার্ট মোবাইল ফোন পুরষ্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ, জেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন মিডিয়ার জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ