বশেমুরবিপ্রবি লাইভ: আসন সংখ্যায় দেশের পঞ্চম বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও একাডেমী কার্যক্রম শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে।
প্রথম পর্যায়ে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে চারটি অনুষদে পাঁচটি বিভাগ খোলা হয় এবং প্রতি বিভাগে ৩২ জন করে মোট ১৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। এ বছর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে মোট ২২০৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে এবং আসন সংখ্যার দিক দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এখন বাংলাদেশের ৫ম বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়।
আসন সংখ্যায় প্রায় ৬৮০০ আসন নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এরপর প্রায় ৪৯০০ আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ৪১০০ আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২৯০০ আসন নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে। অন্যদিকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২২০৭) আসন নিয়ে রয়েছে পঞ্চম স্থানে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিতর রয়েছে প্রথম স্থানে। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২১০০ আসন নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
প্রায় ৫৫একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আধুনিক ল্যাবরেটরি। দেওয়া হয়েছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট (ব্রডব্যান্ড ও ওয়াই-ফাই) সংযোগ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষ করতে গড়ে তোলা হয়েছে ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ল্যাব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর একনেকে ৯১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ হয়। এরপর অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য সম্প্রতি একনেকের সভায় ১০৫ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন-২০২১ কে টার্গেট করে ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র ০৫টি বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও আগামী ১০ বছরে পর্যায়ক্রমে ৩২টি বিভাগ খোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
যেখানে আরও দুটি গবেষণা ইনস্টিটিউট খোলা হবে। এ ইনস্টিটিউট দুটি বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। দক্ষ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: