বুয়েট লাইভঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার উপরে জাতির আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে বুয়েট। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রস্তাবিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার করে বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৫২তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (তথ্য) মো. শফিউর রহমান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। অপরদিকে ইউজিসি প্রস্তাবিত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা-বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘স্টান্ড ফর দ্য ইউনিভার্সিটি’ ব্যানারে এ মানববন্ধন পালন করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে যেন সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা না হয়, সে কারণে গতকাল ভিসির কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুয়েটের বিজ্ঞপ্তিতে একাডেমিক কাউন্সিলের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ‘বিগত প্রায় চার যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা বুয়েটের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা সার্বিক বিবেচনায় অত্যন্ত সার্থকতার সঙ্গে দেশ ও জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত এই ব্যবস্থায় যেকোনো ধরনের পরিবর্তনে বুয়েটে ভর্তিচ্ছু মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না বলে সব সদস্য মত ব্যক্ত করেন। দেশ ও জাতির স্বার্থকে সার্বিক গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যমান পদ্ধতিতেই বুয়েটে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।’
মানববন্ধনে আখতার হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যতভাবে সরকারের অধীনস্ত করা যায় তার সমস্ত আয়োজন করছে ইউজিসি। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কী হতে পারে? সৃষ্ট বিপর্যয়গুলো কী হতে পারে? তার কোনো আলাপ-আলোচনা না করেই ইউজিসি এক হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউজিসির এই সিদ্ধান্ত একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত বৈ আর কিছু না।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বর্তমানে যারা পরিচালনা করেন তারা আদৌ নিজেদের মতামত প্রকাশ করার যোগ্যতা রাখেন কি না, তাও আজ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: