ঢাবি লাইভঃ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কি হতে পারে? সৃষ্ট বিপর্যয় গুলো কি হতে পারে? তার কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই ইউজিসি এক হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউজিসির এই সিদ্ধান্ত একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত বৈ আর কিছু না।
রবিবার সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপারেজয় বাংলার পাদদেশে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ না করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে এ কথা বলেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যতভাবে সরকারের অধীনস্ত করা যায় তার সমস্ত আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)সম্পন্ন। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা একটি সমন্বিত বিপর্যয় হতে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বর্তমানে যারা পরিচালনা করেন তারা আদৌ নিজেদের মতামত প্রকাশ করার যৌগ্যতা রাখেন কিনা সেটা আজ প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শেষ পর্যন্ত ইউজিসির এই হঠকারী সিদ্ধান্ত মেনে নিবে কিনা এ ব্যাপারে আমরা সন্দিহান, উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছি। এই উদ্বেগের কারণে যারা আজ মানববন্ধন করছে তাদের সাথে আমি সংহতি প্রকাশ করছি।
ইউজিসি প্রশ্নফাঁস রোধ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আখতার বলেন, লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা ইউজিসির আছে কিনা এ ব্যাপারে ভালো করেই জানি। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার একটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধ করতে পারে না সে জায়গায় ইউজিসি লাখ লাখ শিক্ষার্থীর সামাল কেমনে দিবে এ ব্যাপারে আমরা সন্দেহ, সংশয় প্রকাশ করছি।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, আমরা মনে করি আগামীকাল একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেবে বলে মনে করি। যদি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয় তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে থাকবো না। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি মানতে কতৃপক্ষকে বাধ্য করবো ।
উক্ত মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করার দাবিতে বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন শেষে তারা মিছিল নিয়ে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার জন্য তার বাসভবনে যান।
উল্লেখ, গত ২৩ জানুয়ারি দেশের সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় ইউজিসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫টি বড় বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছিল। এজন্য তারা নতুন এ পদ্ধতিতে যাওয়ার বিষয়ে কোনো কথা দেয়নি। এর মধ্যে কিছুদিন আগেই ইউজিসির আরেক সভায় সমন্বিত পদ্ধতির পরিবর্তে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের উপাচার্যরা জানান, এ বিষয়ে তাদের নিজেদের শিক্ষা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে এ বিষয়ে তাদের মতামত জানাবেন। ইউজিসির চাওয়া, ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ মত জানাতে হবে। এর মধ্যেই বুয়েট ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষার না যাওয়ার ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত জানান।
আগামীকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: