জবি লাইভঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) মুক্তমঞ্চ আন্দোলন পরিষদের আয়োজনে বায়ান্ন ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ‘বাকরুদ্ধ ভাষা’ পথনাট্য প্রদর্শিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার চত্বরে এই নাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মুক্তমঞ্চ আন্দোলনের আহ্বায়ক এবং নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম রাজ।
অভিনয় করেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এইচ এম তানভীর এবং নাঈম রাজ। নাটকটির মেক-আপে ছিলেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ আহমেদ।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্বিবিদ্যালয় মুক্তমঞ্চ আন্দোলন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ও চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত আমান বলেন, মুক্তমঞ্চ হচ্ছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ কিন্তু দুঃখের সহিত বলতে হয় জগন্নাথ বিশ্বিবিদ্যালয়ে কোনো মুক্তমঞ্চ না থাকায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড গুলো বড় রকমের বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে মুক্তমঞ্চ আন্দোলন পরিষদের কার্মসূচি হিসেবে আজকের এই পারফরমেন্স আর্টটি পরিবেশিত হয়। আমাদের সংস্কৃতিমনা মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের প্রতি আকুল আহ্বায়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিদ্রুত একটি মুক্তমঞ্চ স্থাপন করে শ্বাসরুদ্ধ সংস্কৃতির প্রাণ ফিরিয়ে আনতে আকুল আহ্বায় জানাচ্ছি।
বাকরুদ্ধ ভাষা নাটকটি মঞ্চায়নের সম্পর্কে নাঈম রাজ বলেন, শত বাঁধা অত্যাচার পেরিয়ে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা ভাষার স্বাধীনতা পেলেও সেই ভাষা আজ পরাধীন, বাকরুদ্ধ। আজকে আমরা বাক-স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছি। মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছি। বাংলা ভাষা আজ গুমরে গুমরে কাঁদছে। ভাষা শ্বাসরুদ্ধ।
‘বাকরুদ্ধ ভাষা’ পারফরমেন্স আর্টটিতে দু'টি চরিত্র অভিনয় করে। একটি ‘বাকরুদ্ধ ভাষা’-যে আত্মচিৎকার করে। সমাজকে তাঁর মনের বিধস্ততার কথা বলতে চায়।কথার স্বাধীনতা চায়। চিন্তার স্বাধীনতা চায়। অন্যটি ‘আগ্রাসনবাদ’ এর প্রতিনিধি। যে ভাষাকে গ্রাস করে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। শাসন করতে চায়।
ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: