Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

আবরার হত্যার আসামি সাদাত এইচএসসিতে রাজশাহী বোর্ডে ৪র্থ হয়েছিল

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবার ২০১৯, ০৭:৪৩

লাইভ প্রতিবেদকঃ বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার এজাহারে থাকা ১৭ নম্বর আসামি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কড়ই উত্তরপাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে নাজমুস সাদাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার একটি দল দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা বাজার এলাকার সাদাতের এক আত্মীয় রফিকুলের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার উদ্দেশ্য ছিল কাটলা সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার।

সাদাতের বাবা হাফিজুর ২০০৭ সাল থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছেন এবং বর্তমানে হাজী মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। এর আগে তিনি জয়পুরহাট রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। চাকরির কারণে হাফিজুর প্রথমে জয়পুরহাট শহরে এবং বর্তমানে রাজশাহী মহানগরের হেলেনাবাদে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। গ্রামে হাফিজুরকে সবাই চিনলেও তার ছেলে সাদাতকে সেভাবে কেউ চেনে না, তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গ্রামে থাকতেন সবাই।

বিত্তশালী পরিবারের সন্তান সাদাত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, বাবা স্কুলে চাকরি করলেও মা সাদিয়া বেগম একজন গৃহিনী। দুই সন্তানের মধ্যে সাদাতই বড় সন্তান।

জানা যায়, ছোট বেলা থেকেই প্রচণ্ড মেধাবী সাদাত ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তিসহ ২০১৫ সালে রাজশাহী গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে গোল্ডেন প্লাসসহ রাজশাহী বোর্ডে ৩য় স্থান অর্জন করে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে রাজশাহী কলেজে থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএসহ রাজশাহী বোর্ডে ৪র্থ স্থান অর্জন করে পরিবারসহ স্থানীয়দের অবাক করে দেয়।

এরপর ঢাবি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, রুয়েট ও কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত বুয়েটকেই বেছে নেন তিনি।

তার দাদা মওলানা আছির উদ্দিন স্থানীয় কড়ই নুরুল হুদা কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। দাদাসহ সাদাতের দুই চাচা গ্রামেই থাকেন। মেঝ চাচা আমিনুল ইসলাম ক্ষেতলাল উপজেলার হোপপীরহাট মাদরাসার শিক্ষক এবং ছোট চাচা ওবায়দুর রহমান কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরি করেন।

কড়ই নুরুল হুদা কামিল মাদরাসার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, সাদাতের বাবা হাফিজুর রহমান সম্পর্কে তার আপন চাচাতো ভাই। সাদাত তার দাদার বাড়ি খুব কম আসত। গ্রামের মানুষ তাকে চিনতো সজিব নামে। গ্রেফতার হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর দেখে তারা আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সাদাতের জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

সাদাতের বাবা হাফিজুর রহমান বলেন, সাদাত পরিস্থিতির শিকার। তবে দোষ প্রমাণিত হলে অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।

সাদাতের চাচা ওবাইদুর রহমান বলেন, সাদাত যদি অপরাধী হয় তাহলে আইন তার বিচার করবে। না হলে সে আমাদের মাঝে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে ফিরে আসুক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, সাদাতের বাবা হাফিজুর রহমান অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সময় শিবিরের রাজনীতি করতেন। পরবর্তীতে দলে সক্রিয় না হলেও কথাবার্তায় তিনি সবসময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করতেন।

ঢাকা, ১৬ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ