বশেমুরবিপ্রবি লাইভঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজের বন্ধুকে নিয়োগের নতুন অভিযোগের এক বিরল জালিয়াতি তথ্যানুসন্ধানে উঠে এসেছে।
প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় বাকৃবি এর বন্ধুকে ডেকে এনে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইভস্টক সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এলভিএম) বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বন্ধুত্বের বিরল উদাহরণ তৈরি করেছেন সদ্য বিদায়ী ভিসি।
বিষয়টি জানিয়েছেন সাবেক ভিসির বন্ধু শফিকুজ্জামান নিজেই। এমনকি তাকে কোনো সিভিও জমা দিতে হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বশেমুরবিপ্রবি আইন ২০০১ এর ২৫ নং ধারা অনুযায়ী বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নূন্যতম অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর হওয়ার প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে শফিকুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও সদুত্তর দিতে পারেননি।
তিনি বলেন "সাবেক ভিসি আমার বন্ধু ছিলেন, তিনি যখন এলভিএম বিভাগ চালু করেন তখন এখানে কোনো শিক্ষক ছিলো না। আর একই সময়ে আমারো প্রজেক্টের কাজ শেষ হয়।
যেহেতু আমি প্রায় ১৮ বছর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকল্পের অধীনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চাকরি করেছি তাই আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।"
তাছাড়া চেয়ারম্যান দায়িত্ব কীভাবে পেলেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "ভিসি আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তাই আমি দায়িত্ব পালন করছি।"
উল্লেখ্য, অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারীতা, আর্থিক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি শফিকুজ্জামানের অপসারণ চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ করেছে এলভিএমের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: