শেকৃবি লাইভ: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের এমএস এর শিক্ষার্থি মারজিনা আক্তার রিমা। তার গবেষণার অংশ হিসেবে দেশে এই প্রথম কোন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হলো যার মাধ্যমে বছর জুড়ে আম পাওয়া যাবে ইচ্ছেমতো যেকোন সময়ে।
শেকৃবি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দীনের তত্ত্বাবধানেই এম এস করছেন রিমা।
সাধারণত এপ্রিল-জুলাই মাসে আমাদের দেশে আম পাওয়া যায়। এছাড়া বাকি সময় কিছু বারমাসি জাতের আম পাওয়া গেলেও সেগুলো মৌসুমি আমের মতো উৎপাদন ও পুষ্টিগুণ মাত্রায় আশানুরূপ নয়।
তাছাড়া এই বারমাসি আমগুলো আমরা শুধু নির্দিষ্ট সময়েই পেয়ে থাকি। কিন্তু, সম্প্রতি শেকৃবিতে উদ্ভাবিত এ পদ্ধতিতে শুধুমাত্র বারমাসই নয় বরং যে যার ইচ্ছানুযায়ী বছরের যেকোন সময়েই আম উৎপাদন করতে পারবে।” এমনটাই জানাচ্ছিলেন ড. জামাল ও এমএস ফেলো রিমা।
কৃষি গবেষক ড. জামাল বলেন, “সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ বাগানে অক্সিন, সাইটোকিনিন ছাড়াও অন্যান্য হরমোনাল দ্রব্যাদি প্রয়োজনীয় অনুপাতে মিশিয়ে ২৪ টি থাই 'নামডকমাই' আম গাছে প্রয়োগ করে গাছের আভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ঘটিয়ে পর্যায়ক্রমে মুকুল ও আম উৎপাদন করা হয়েছে এবং এ পদ্ধতি দেশের অন্যান্য যেকোন জাতের আমগাছেই প্রয়োগ করা যাবে।
এক্ষেত্রে আম প্রাপ্তির প্রত্যাশিত সময়ের ৩ মাস পূর্বে থেকেই এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।” সরেজমিনে দেখা যায় গাছগুলোর কোনটিতে বড় আম, কোনটিতে মাঝারি আকারের আবার কোনটিতে মুকুল এসেছে কেবল।
গাছগুলোতে বাধ্য করেই ফুল ফুটানো হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট এই গবেষক। আগামী বছর নাগাদ উদ্ভাবিত এ পদ্ধতি কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে কাশিমপুরের বিএডিসি খামারে বৃহৎ পরিসরে সংশ্লিষ্ট গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান ড. জামাল।
ঢাকা, ১৩ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: