Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

চাকরিচ্যুত ঢাবির সেই রেজিস্ট্রার চাকরি ফিরে পেতে তৎপর!

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বার ২০১৮, ২১:৩১

ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান চাকরি ফিরে পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন। ইতিহাস বিকৃতির দায়ে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ রেজাউর রহমান আবেদন করার কথা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিধি মোতাবেক আচার্যের সচিবের কাছে আবেদন করেছি। এর জবাব তিনি পাননি বলে জানান।

এবিষয়ে জানাতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (বর্তমান) এনামউজ্জামান জানান, আমি এ ধরনের কোনো কিছু পাইনি। তাছাড়া ওনারতো চাকরির মেয়াদ জুনেই শেষ হয়েছে, কর্মকর্তাদের অবসরের বয়স ৬২ বছর হিসেবে।

জানা গেছে, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য গত ২৭ জুন শিক্ষা মন্ত্রণলায় বরাবর আবেদন করেছেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট আইন অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে করার জন্য।

২০১৬ সালের পহেলা জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি স্মরণিকার ১৯নং পৃষ্ঠায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ রেজাউর রহমান ‘স্মৃতি অম্লান’ নামে একটি নিবন্ধ লিখেন।

ওই নিবন্ধনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর বর্ণনা দেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জেনারেল জিয়াকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করেন।

পক্ষান্তরে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা, যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত।

পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা ঐতিহাসিক তথ্যের এমন বিকৃতির প্রতিবাদে ভিসি প্রফেসর ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিকের গাড়ি ভাঙচুর ও তাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ভিসির ওই স্মরণিকাকে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার তদন্তের জন্য ২০১৬ সালের ২১ জুলাই সিন্ডিকেটের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. কামাল উদ্দীনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেও বিষয়টি সিন্ডিকেটে তোলা হয়নি।

পরে ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বৈঠকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নতুন ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামানের কাছে দাবি জানানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সিন্ডিকেটে ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। আর ট্রাইব্যুনালের সুপারিশে ২৮ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

 


ঢাকা, ০৮ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ