গণবি লাইভ: সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুট ও হামলার সময় বাধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের মারধরের শিকার র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেন ও ছাত্রীদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) সাতটি (৭) সংগঠন।
সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস), কালের কন্ঠ শুভ সংঘ, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, পরিবেশ ক্লাব, বৃন্ত, অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদ। বুধবার (৩১অক্টোবর) সকল সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
ছাত্র সংসদের ভিপি মোঃ জুয়েল রানা বলেন, জায়গা- জমি ঘটিত ব্যাপারে কাগজ পত্র নিয়ে বসে মিমাংশা করুন, ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা বা নির্যাতন না করার অনুরোধ করছি। দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচার করলে প্রতিবাদ করতে সময় লাগবে না।
সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুন্নি আক্তার বলেন, পিএইচএ ভবনে হামলার সময় নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্চিত করা হয়েছে। লাঞ্ছনার মাধ্যমে যারা ভয়ঙ্কর ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।
পরিবেশ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই হামলা দুঃখজনক। সন্ত্রাসীরা শুধু হামলায় করে নি তারা আমাদের ছাত্রীদের অকথ্য গালিগালাজ করে এবং হোস্টেল থেকে তাঁদের বের করে দেয়। সন্ত্রাসীদের দ্রুত খুজে শাস্তির দাবি জানায়।
অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি হোসাইনুল আরেফিন সেতু বলেন, গণস্বাস্থ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাসের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান। হামলা ও লুটপাঠ কারীদের দেশের প্রচলিত আইনে কঠিন বিচার হোক।
সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ কৌশিক বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রস্থ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি ছাত্রী হোস্টেলে হামলার নিন্দা জানায়। ছাত্রীদের ওপর এই হামলা নারীর অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এই হামলার বিচার হতেই হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে পিএইচএ ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুট, শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এদিকে গাছ কাটায় ক্ষোভ: বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী জানান, পিএইচএ ভবন এর এই গাছগুলি লাগানোর সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমার তত্ত্বাবধানেই লাগানো হয়েছিলো।
অনেক যত্ন করে, সাভার ডেইরি ফার্ম থেকে ট্রাকে করে গোবর এনে গাছের গোড়ায় দেয়া হতো। প্রতিদিন পানি দেওয়া হতো পাইপ দিয়ে। আমিও অনেক দিন গাছে পানি দিয়েছি। সেই গাছ যারা কেটেছে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি।
ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজেও গাছের যত্ন নিতেন, তিনিও বহুদিন গাছে পানি দিয়েছেন।
যারা এই গাছ কেটে জমি দখল করছে, তারা মানুষ নয়, জানোয়ারের চেয়েও অধম।
শনিবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পিএইচএ এলাকায় সন্ত্রাসীদের গাছ কেটে নেয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কোন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ নষ্ট করা ও গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা কারো কাম্য হতে পারে না।
জানা গেছে, আগামী ১৫ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই সম্মেলন কেন্দ্রে জনস্বাস্থ্য নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনে ১০৭টি দেশের ৬০০ প্রতিনিধি যোগ দেওয়ার কথা।
ঢাকা, ৩১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: