ঢাবি লাইভ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো মারধরের শিকার হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলন করা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ৪ নেতা। ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে তাদের পেটানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনের যাত্রী ছাউনির কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে তাদের মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মারধরের শিকার ৪ জনই সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। তারা হলেন, আতাউল্লাহ ও রাতুল সরকার, ফারাবি এবং ফারুক হাসান। ফারুক হাসানকে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, মঙ্গলবার কর্মসূচি শেষে আমরা চলে আসছিলাম। আমরা চারজন মিলন চত্বরের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি, আমাদের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, রাতুল সরকার ও তুহিন ফারাবী। এসময় যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে আতাউল্লাহ'র ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের চার-পাঁচজন। আমাদের আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রাতুল সরকারকেও তারা মারধর করে। তবে আতাউল্লাহকে বেশি মারধর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের ভাষ্য থেকে তিন হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। ছাত্রলীগের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আলী রিমন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সোলাইমান হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাকিউর রাফিদ নাফি। এদের মধ্যে আলী রিমন ও জাকিউর রাফিদ নাফি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।
সনজিত চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান, তারা কখন মারধর করল! বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।
ঢাকা, ২৪ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: