ফাইল ছবি
ঢাবি লাইভ: হামলা। আবারও হয়েছে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর। অনেকটা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে নানান মহলে সমালোচনা চলছে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ঘ' ইউনিটের ফল বাতিল করে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
বিক্ষোভ শেষে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতার ওপর এই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন অভিযোগ করেন, হামলায় তাদের চার যুগ্ম-আহ্ববায়ক ফারুক হাসান, মো. আতাউল্লাহ, রাতুল সরকার ও তুহিন ফারাবী আহত হয়েছেন।
মারধরের পর তাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা হলেন- বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ তুনান, জহুরুল হল শাখা ছাত্রলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আলী রিমন, উপ-কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক সোলায়মান হোসেন ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাকিউর রাফিদ নাফির নেতৃত্বে প্রায় ১০-১২জন নেতাকর্মী।
এরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী। হাসান আল মামুন বলেন, সমাবেশ শেষে আমরা যখন ফিরছিলাম, ঠিক তখনি ছাত্রলীগের প্রায় ১০-১২ জন নেতাকর্মী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং সবাইকে বেধড়ক মারধর করে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসান আল মামুন হামলার নিন্দা জানিয়ে আরও বলেন, ঠিক কী কারণে আমাদের ওপর হামলা, আমরা সেটা জানতে চাই। কারণ ছাত্রলীগ আর আমরা একই দাবিতে আজকে আন্দোলন করেছিলাম।
এই হামলার মাধ্যমে ছাত্রলীগ ঠিক কী বুঝাতে চাচ্ছে সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।
ছাত্রলীগ ঠিক কী বুঝাতে চাচ্ছে সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা এ হামলার বিচার চাই।
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমি মারামারির বিষয়ে অবগত নই।
খোঁজ নিচ্ছি। কেউ এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন ছাত্রলীগ একাজ করতে পারে না।
ঢাকা, ২৩ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: