ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম হওয়া ভর্তিচ্ছু ওই শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ফেল করেছিলেন। শিক্ষার্থীর নাম জিহাদ হাসান আকাশ। তিনি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন।
ফল প্রকাশের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানকে কোনো ভর্তিচ্ছুর ১২০ এ ১১৪ দশমিক ৩০ পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কারো মেধা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করতে পারি না। তবে কাউকে সন্দেহ হলে ডিন তাদের ব্যাপারে পুনরায় যাচাই করতে পারেন।
এ বিষয়ে ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও "ঘ" ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমরা তাকে ভর্তি করাইনি। তার ফল প্রকাশ হয়েছে। সে আসলে তার বিষয়ে তদন্ত ও যাচাই শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ জোরালো হলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এটা প্রশ্নফাঁস না, ডিজিটাল জালিয়াতি। যারাই অভিযুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হবে। ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় "ঘ" ইউনিটে প্রথম হওয়া জিহাদ নিজের ব্যবসায় শাখায় ফেল করেছেন। "গ" ইউনিটে তিনি পেয়েছেন ৩৪ দশমিক ৩২। বাংলায় পেয়েছিলেন ১০.৮ ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ২.৪০, হিসাব বিজ্ঞানে ৫ দশমিক ২৮, ব্যবসায় নীতিতে ৬ দশমিক ৭২ এবং ফিন্যান্স এ ৯ দশমিক ৮৪।
অথচ জিহাদ নম্বরপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সে "ঘ" ইউনিটে পেয়েছেন ১১৪ দশমিক ৩০। যেখানে বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২৭.৩০, সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়বলিতে ২৮ দশমিক ৩০ এবং আন্তর্জাতিকে ২৫ দশমিক ৫০।
উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। যে অভিযোগ গতকাল স্বীকারও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউনিটটিতে নিকট অতীতে সর্বোচ্চ ফলাফল হয়েছে। যা ক্ষেত্র বিশেষে দুই থেকে তিনগুণ। ২৬.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী এতে পাস করেছেন।
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: