ঢাবি লাইভ: চলছে ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস অক্টোবর। দেশে দ্বিতীয়বারের মতো এ মাসটি যৌথভাবে উদ্যাপন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ, আমদা বাংলাদেশ, ডাউন সিনড্রোম প্যারেন্টস সার্পোট গ্রুপ ও জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল।
এই মাস উদযাপন উপলক্ষ্য বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটারে আরসি মজুমদার অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডাউন সিনড্রোম কোন রোগ নয়, বরং এটি শরীরের একটি জেনেটিক পার্থক্য (ভিন্নতার মাত্রা) এবং ক্রোমোজমের একটি বিশেষ অবস্থা।
ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির দেহ কোষে একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজম থাকে, যাকে Trisomy 21 বলে। অন্যদের তুলনায় সাধারনত এরা দেরিতে বসে ও কথা বলে, হামাগুড়ি দেয় ও হাঁটে। বাংলাদেশে প্রায় ২ লাখেরও বেশী ডাউন সিনড্রোমে শিশু ও ব্যক্তি রয়েছে যারা সমাজে বেশ অবহেলিত। অথচ সঠিক যত্ন, পুষ্টিকর খাবার, স্পিচ ও ল্যাংগুয়েজ এবং ফিজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম শিশুরা স্বাভাবিক শিশুদের ন্যায় পড়ালেখা করে স্বনির্ভর হতে পারে।
তাই জাতীয় পর্যায়ে ডাউন সিনড্রোম শিশু ও ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদা, গ্রহনযোগ্যতা, অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকালটি অব আর্টস এর ডিন প্রফেসর ড. এম. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।
এতে বক্তব্য রাখেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার এ. রাজ্জাক, বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব স্পেশাল এডুকেশনের প্রিন্সিপাল মিসেস মনিরা ইয়াসমিন, আরটিভির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মিসেস সৈয়দা মুনিরা ইসলাম প্রমূখ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে ঢাকা বিশ্বববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ডাউন সিনড্রোম শিশু, ব্যক্তি ও অভিভাবকদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত ব্রোশিওর প্রকাশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, একাডেমিক সেশন এবং সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শেষ হয়।
ঢাকা, ১১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: