Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

জবিতে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ, শহীদ মিনার ভাংচুর

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবার ২০১৮, ০৮:২৪

জবি লাইভ: ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র‌্যাগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। একপর্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছেন নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে হিরো (১৩তম ব্যাচ) ও নোমানকে (১২তম ব্যাচ) পুরাণ ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

জবি প্রক্টর প্রফেসর ড. নুর মোহাম্মদ ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ক্যাম্পাসে মারামারির ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যান ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণের জুনিয়রদের র্যাগিংকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আমারা তাদের সিনিয়রদের নিয়ে বসে ঘটনার সমাধান করি।

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ভুল বোঝাবুঝির কারণে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে আমরা তাদের শান্ত করে বিষয়টির সমাধান করি।

জানা যায়, গত শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক শাখার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা থেকে আগত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক পরীক্ষার্থীকে র‌্যাগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এরই জের ধরে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সমাজকর্ম বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলামের অনুসারী নোমানকে সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মীরা মারধর করেন। মারামারির একপর্যায় নোমানের মাথা ফেটে যায়। পরে দুপুর একটায় সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী জোবায়ের আল মাহমুদকে মারধর করেন।

এদিকে মারামারির সময় জবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দেয়ালে লাগানো লোহার রড ভেঙ্গে মারামারিতে জড়ায় উভয় পক্ষের কর্মীরা। পরবর্তীতে দুপুর ১টায় কাঁঠালতলায় ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল মারামারির ঘটনার সমাধান করতে বসলে তাদের সামনেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়।

এসময় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ কলাভবন, সামাজিক বিজ্ঞান ভবন, ক্যান্টিন ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আবার ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

 

 

ঢাকা, ০৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ