Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শেকৃবির আবহাওয়া কেন্দ্রের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবার ২০১৮, ০৮:৩৬

অলি আহম্মেদ: দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আবহাওয়া কেন্দ্রটি (মিনি ওয়েদার স্টেশন)। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সহায়তায় স্বল্প পরিসরে গড়ে তোলা হয়েছিল আবহাওয়া কেন্দ্রটি (মিনি ওয়েদার স্টেশন)। বর্তমানে এই আবাহাওয়া কেন্দ্রটি কোন কাজেই আসছেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক গবেষণায়।

সফলভাবে বিভিন্ন মাঠ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে প্রাথমিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্যই মূলত এরুপ মিনি ওয়েদার স্টেশনগুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এখন গবেষণা মাঠের ফসল উৎপাদনে এর যথার্থ ব্যবহার হচ্ছেনা এটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণা খামারে ওয়েদার স্টেশনটির অবস্থান। মরিচাধরা লোহার চিকন পাত দ্বারা চতুর্পাশ একটি মাঝারি রকমের বেষ্টনী যার ভেতরে এগারটি বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস ২০১১ সালে ইউজিসির সহায়তায় HEQEP প্রকল্পের আওতায় এই ওয়েদার ষ্টেশনটি স্থাপন করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ড. বিশ্বাস বলেন, সরঞ্জাম গুলোর মধ্যে হাইগ্রোমিটার, ব্যারোমিটার এবং সানশাইন রেকর্ডার সম্পূর্ণ অকেজো। এনিমোমিটার, উইন্ডভেন ও ইভাপোট্রান্সপিরেশন মিটার নামক এই তিনটি যন্ত্রও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে প্রায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএস ও পিএইচডি ফেলো, যাদের প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্যই মূলত এই ওয়েদার স্টেশন তা তাদের কোন কাজেই আসছেনা এমনকি শিক্ষার্থীরা সঠিক ডেটা সংরক্ষণ ছাড়াই যাবতীয় গবেষনাদি কিভাবে সম্পন্ন করছে এ ব্যাপারেও সন্দিহান তিনি।

মিনি ওয়েদার স্টেশনটির বর্তমান এই বেহাল দশার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাম্পাস লাইভকে তিনি বলেন, ২০১২ সালে স্টেশনটির দায়িত্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছিল যিনি সার্বক্ষণিক এর দেখভাল করতেন, যার জন্য ২০১৩ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ষ্টেশনটি চালুই ছিল।

কিন্তু, হঠাৎ দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মচারী মারা যাওয়ায় থমকে যায় ষ্টেশনটির কার্যক্রম। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার বিভাগ থেকে সাহায্য চাওয়া হলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি বিধায় একডেমিক কাউন্সিলের সভায় কৃষিতত্ত্ব বিভাগ থেকে জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যা এখনও অজানা কারণে যথাযথ বাস্তবায়িত হয়নি।

কেবলমাত্র স্থায়ীভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউকে স্টেশন দেখভালের দায়িত্বে নিয়োগ করা হলেই অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা ওয়েদার ষ্টেশনটি তার পুরনো রুপ ফিরে পাবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওয়েদার স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আমাদের বিভাগে হস্তান্তর করা হয়নি যে কারণে সে ব্যাপারে কোন পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি।

 

 

 

ঢাকা, ০৬ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ