Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বিন্দুবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি, শিক্ষক শ্রীঘরে

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবার ২০১৮, ০০:১৫

টাঙ্গাইল লাইভ: টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাইভেটের নামে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেছে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, উক্ত ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ লম্পট শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক বদলি ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত শিক্ষককে দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারা অনুযায়ী এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠান।

এছাড়াও গত ১ অক্টোবর সকাল ৯টায় কয়েকশ’ ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক এসএম সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির প্রতিবাদে স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। প্রতিবেদনে যৌন হয়রানির শিকার বেশ কয়েকজন ছাত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

দিনের পর দিন এমন অপকর্ম ঘটে আসার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ কারণেই গত ১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের (ডিসি) প্রতিবেদন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানা গেছে।

কয়েকজন শিক্ষক স্কুল ও কোচিং সেন্টারে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ করা হয়। সেখানে গড়ে উঠেছে যৌন হয়রানিকারীদের সিন্ডিকেট। এ অপকর্মে সহায়তা করছেন কয়েকজন নারী শিক্ষক। সম্প্রতি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের (ডিসি) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

লিখিত অভিযোগপত্রে এক ছাত্রী লিখেছে, ‘প্রাইভেটে গেলে স্যার আমাকে বলে, তুই আমার সব থেকে প্রিয় ছাত্রী। তোকে দেখলে আমার মনে হয় যেন আমি আবারও ক্লাস নাইনে ভর্তি হই। তোর জন্য আমি যৌবন ফিরে পাওয়ার ওষুধ খাওয়া শুরু করেছি।’

ফেসবুকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর কথা উল্লেখ করে এ ছাত্রী আরও লিখেছে, উল্লিখিত ইংরেজির শিক্ষক পর্ন সিনেমার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। অপর এক ছাত্রী লিখেছে, তার সঙ্গে উল্লিখিত শিক্ষক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে-এমন নানা অভিযোগ ছাত্রীদের।

যৌন হয়রানির বিষয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তখন তারা কয়েকজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করেন। এ সময় তারা জানান, যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমানকে সহায়তাকারী ও রক্ষাকারী ছিলেন শিক্ষক এ্যানি সুরাইয়া, হাবিবুর রহমান, মাকসুদা রানা ও প্রধান শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন তালুকদার। এসব শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

 

 

ঢাকা, ০৪ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ