ঢাবি লাইভ: এবার ছাত্রলীগ সাবেক বর্তমানদের মাঝে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। লিফটে ওঠা নিয়ে কথা কাটাকাটি। আর এ নিয়ে হাসপাতালেই মারামারি করল ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতাকর্মীদের মারধর করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ঢামেকের নতুন ভবনে এ ঘটনা ঘটে গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে। তবে এই ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার জন্যে অনেকেই প্রাণপন চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি রুহুল আমিনসহ তিনজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্যে নানান চেষ্টাও করেছেন অনেকেই।
জানা গেছে রুহুল আমিনের বড় ভাই ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহিমের শাশুড়ি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাঁর মরদেহ নিতে রুহুল আমিন, আব্দুর রহিম এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রানা ও রুহুল আমিনের ভাবি ঢাকা মেডিকেল কলেজে আসেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের বড় ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে সঞ্জিতের কয়েকজন অনুসারীও লিফটে ঢোকেন। রুহুল আমিন সঞ্জিতের অনুসারীদের কয়েকজনকে লিফট থেকে নেমে তাদেরও লিফটে উঠতে সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় সঞ্জিতের ভাইয়ের সঙ্গে রুহুল আমিনের কথা কাটাকাটি হয়।
এদিকে ৪০ মিনিট পর ঢাবির বিভিন্ন হলের শতাধিক নেতাকর্মী ঢামেকের নতুন ভবনের আটতলায় উঠে রুহুল আমিনকে বেধড়ক মারধর করে। মারতে মারতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রুহুলকে আটতলা থেকে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসে। এ সময় হাসপাতালে আসা রোগী ও দর্শনার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
রুহুল আমিন বলেন, ‘বড় ভাইয়ের সামনে ছোট ভাইকে মারধর কতেটা হৃদয় বিদারক। তাঁরা ২ ঘণ্টা ধরে আমার খালার লাশ আটকে রেখেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
সাবেক এই কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘হল থেকে ছাত্রলীগ করে এসেছি, হলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, কেন্দ্রীয় কমিটিতেও দায়িত্বপালন করেছি। কিন্তু এত বড় অপমানিত জীবনে কখনো হইনি। এ অন্যায়ের বিচার চাই।’
মারধরের ঘটনায় সঞ্জিতের অনুসারী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মুজাহিদ ও সোলায়মান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ইমন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের হৃদয় হাসান সোহাগ, বঙ্গবন্ধু হলের শান্তসহ ২০-২৫ জন নেতাকর্মী অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।
এছাড়া ওই এলাকায় থাকা ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কলেজের দুই ছাত্রলীগকর্মীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা হলেন আলিয়া মাদ্রাসার ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের কাজী শাওন ও ঢাকা কলেজের ২০১২-১৩ সেশনের ম্যানেজমেন্টের ছাত্র মমিনুর রহমান রকি।
এসব বিষয়ে কাজী শাওন বলেন, ১২টার পর খেতে বের হয়েছিলাম মেডিকেলের সামনে। এ সময় ১৫-২০ জন ছেলে জিজ্ঞেস করে কোথা থেকে আসছি। ঢাকা আলিয়া বলার সাথে সাথেই উপর্যুপরি মারধর করে। তারা আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘রুহুল আমিন আমার ভাই ও ভাবীকে ধাক্কা দিয়েছিল। আমার ভাই পরিচয় দেওয়ার পরও গালি দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মীরা যায়। আমি তাদের নিয়ে ক্যাম্পাসে চলে আসি।’
এর বাইরে আমার কোন কিছু জানানেই।
ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: