Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শেকৃবিতে স্পিরুলিনা গবেষণায় সফল

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বার ২০১৮, ০৩:০৩

শেকৃবি লাইভ: জল্পনা কল্পনার অবসান নেই স্পিরুলিনা নিয়ে, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। দেশে সর্বপ্রথম ১৯৯৪-৯৫ সালের দিকে স্পিরুলিনা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের তত্ত্বাবধানে ফ্রান্স থেকে নিয়ে আসা স্পিরুলিনা দিয়ে প্রাথমিকভাবে খোলামাঠে সুইমিংপুল আকৃতির ঘের বানিয়ে স্পিরুলিনা চাষ শুরু হয়।

কোন এক অজানা কারণে পরে স্পিরুলিনা চাষ টেকসই হয়নি। কিন্তু, সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) গবেষণায় স্পিরুলিনা চাষ এখন দেশে শতভাগ সফলতার মুখ দেখেছে।

শেকৃবি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর আফম জামাল উদ্দিন এ বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে বিশেষত ছাদ বাগানে স্পিরুলিনা চাষ নিয়ে গবেষণা কাজ শুরু করেছিলেন এবং এতে তিনি শতভাগ সফলতার মুখ দেখেছেন।

শেকৃবির ছাদবাগান ঘুরে দেখা যায় ছিয়ানব্বইটি বাকেটে গবেষক বাণিজ্যিক মডেলে স্পিরুলিনা চাষ করছেন। এবং একটু দূরেই ছোট পরিসরে বিভিন্ন বাসাবাড়ির ছাদে, বেলকনিতে কিংবা বারান্দায় স্পিরুলিনা চাষের কৌশল সম্বলিত একটি মডেলে স্পিরুলিনা চাষ হচ্ছে।

এখানে একটি মোটরের সাহায্যে বাকেট গুলো একটি আরেকটির সাথে সংযোগ করে টাইমার স্থাপনের মাধ্যমে এক ঘন্টা পরপর পানি সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট গবেষক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, স্পিরুলিনা নিয়ে আগ্রহ আমার আগে থেকেই ছিল এবং সেই সুবাদে থাইল্যান্ডের এনারগাইয়া কো. লিমিটেডের কারিগরি সহযোগীতায় স্পিরুলিনা চাষের উদ্যোগ নিই এবং আজকে আমরা সফল।

আমরা সম্প্রতি আমাদের ব্যবহৃত টেকনোলোজিতে উৎপাদিত স্পিরুলিনা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে (বাকৃবি) ৬.৫ কেজি এবং আরকে সিরামিক'কে স্পিরুলিনা সরবরাহ করেছি। তাছাড়া ইতোমধ্যেই আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।"


স্পিরুলিনা চাষে রোগবালাই নিয়ে জানতে চাইলে গবেষক জামাল উদ্দিন বলেন, যে পানিতে স্পিরুলিনার চাষ করা হয় তার পিএইচ এগারো, যার ফলে এখানে কোন ক্ষতিকারক প্যাথোজেন জন্মায়না বলে রোগবালাই নিয়ে চিন্তা নেই। গবেষকের কথামতে, স্পিরুলিনা একটি সুপার ফুড, স্পিরুলিনা একটি মিরাকল।

স্পিরুলিনা চাষে তাপমাত্রা এবং কার্বনডাই অক্সাইড অত্যাবশ্যক। গবেষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্পিরুলিনা স্বভাবতই বেশি পরিমানে কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহণ করে, যার ফলে অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকা গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমতে থাকবে। শুধু পরিবেশ নয় মানবহের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও স্পিরুলিনার ভূমিকা অতুলনীয়। দুধে যে পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, স্পিরুলিনাতে তার থেকে সাতাশ গুণ বেশি।

বৃদ্ধাবস্থায় দেহের চামড়া কুচকে যায় এই স্বাভাবিক, কিন্তু নিয়মিত স্পিরুলিনা খেলে তা থেকে অনেকাংশেই রেহাই পাওয়া যায়। এখনও প্রতিবছর হাজারো শিশু প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম নেয়, কিন্তু গর্ভবতী মা যদি গর্ভাবস্থায় স্পিরুলিনা খায় এরুপ শিশু জন্মের হার লক্ষণীয় ভাবে হ্রাস পায়। বিভিন্ন খাদ্যের সাথে বিভিন্ন ভারী পদার্থ আমাদের ভেতরে প্রবেশ করে, স্পিরুলিনা এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

স্পিরুলিনা সরাসরি না খেয়ে মূলত সম্পূরক খাদ্য হিসেবে খাওয়া হয়। আমাদের প্রতিদিনের রান্না করা বিভিন্ন তরকারিতে কয়েক গ্রাম স্পিরুলিনা ব্যবহারই যথেষ্ট। স্পিরুলিনার কোন গন্ধ নেই বলে একে শুকনো করে চা, কফি, নুডলস, আইসক্রিম ও আরো বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের সাথে এটি খুব সহজেই ব্যবহার করা যাবে।

 

 

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ