টাঙ্গাইল লাইভ: মধুপুরে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসময় কথিত সেই বয়ফ্রেন্ডও অপকর্মে অংশ নেয়। এঘটনায় ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে লম্পটরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব য়ে বয়ফ্রেন্ড। ওই প্রস্তাব দিয়ে বিষয়টি সালিশে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়।
তবে বিচার না পেয়ে ঘটনার ১৯ দিন পর অবশেষে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা। মামলায় আরিফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও শফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের মধ্য মহিষমারা মন্ডল পাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে।
মামলায় ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, স্থানীয় সুনামগঞ্জ গারোবাজার পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে তার মেয়ে। স্কুলে যাওয়া আসার পথে মাঝে মধ্যেই মহিষমারা (মন্ডলপাড়া) গ্রামের মো. হযরত আলীর ছেলে আরিফ হোসেন, আয়েন উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও আ. রশিরে ছেলে শফিকুল ইসলাম যৌন হয়রানি করতো।
গত ১৫ আগস্ট সকালে ওই ছাত্রী পাশের গ্রামে ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার পথে লম্পটরা মহিষমারা গ্রামের সিংহমারী এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আকাশমনি বাগানে নিয়ে উড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা।
একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে চলে যায় লম্পটরা। জ্ঞান ফিরে এলে মুখের বাঁধন খুলে ওই ছাত্রী চিৎকার করতে থাকে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। এসময় ওই ছাত্রীর বাবা মামলা করতে চাইলে প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে তা পারেননি।
এদিকে মহিষমারা ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব কাজী জানান, আরিফের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে শুনেছি। এঘটনার পর সালিশে ওই ছাত্রীর বয়ফ্রেন্ড আরিফ বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে সে পালিয়ে গেলে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়।
মধুপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন গণধর্ষণের এ মামলাটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও উলেখ করেন তিনি।
ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: