ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিশ্ববিদ্যালটির ভিসি ড. মো. আক্তারুজ্জামানসহ তিনকে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকার পরও ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ওই নোটিশ পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের মধ্যে অন্য দুইজন হলেন, ঢাবির প্রক্টর ড. একেএম গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন। মঙ্গলবার রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান।
পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নোটিশপ্রাপ্ত তিনজনের বিরুদ্ধে হাইকার্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। নোটিশ পাওয়ার আগামী ৭ দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের সব ধরনের ব্যবস্থ গ্রহণ করতে বলা হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
জানা গেছে, ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় ওই বছরই ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।
হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে উক্ত রুলের জবাব দেয়ার জন্য বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেন।
ডাকসু বিধান অনুযায়ী প্রতিবছর নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রায় ২২ বছর আগে ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের এ ব্যর্থতার কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচন ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনের সময় আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: