মুন্সীগঞ্জ লাইভ : ছাত্রীকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে রাতভর ফুর্তিতে মেতে উঠেছিলেন কথিত বয়ফ্রেন্ড। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভোরে ওই ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ কাপড়ে মুড়িয়ে রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে ছাদ থেকে ওই ছাত্রীর লাশ নিচে ফেলে দেয়া হয়। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের এক ছাত্রী। তার নাম লিমা আক্তার লিমু। এঘটনায় সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন কথিত বয়ফ্রেন্ড খোকন।
জবানবন্দিতে সে জানায়, লিমুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর দু্ইদিন দোকানের র্যাকের ভেতর লাশ লুকিয়ে রাখা হয়। পরে ৩ দিনের মাথায় রাত ১১ টার দিকে কাপড়ের বস্তার ভেতর মুড়ে ছাদ থেকে লাশ নিচে ফেলে দেওয়া হয়। লাশ উদ্ধারের পর সে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ৬ মাস পূর্বে লিমুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে বাড়ৈখালী বাজারের চাঁন সুপার মার্কেটের র্জিঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক খোকনের। গত ২৮ আগষ্ট বিকালে বাড়ৈখালী গ্রামের আঃ মতিনের মেয়ে লিমু খোকনের দোকানে যায়। লিমু সেখানে গিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। খোকন প্রলোভন দেখিয়ে লিমুকে দোকানের ভেতর রেখে রাতযাপন করে। খোকন ভোর রাতে লিমুকে চলে যেতে বললে সে টাকা দাবি করে। টাকা না পেলে লিমু ঘটনা ফাঁস করে দেবে বলে জানায়। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খোকন গলায় চাপ দিয়ে শ্বাষরোধ করে লিমুকে হত্যা করে।
হত্যার পর লাশ কাপরের র্যাকের বাক্সে লুকিয়ে রেখে ঠান্ডা মাথায় দোকানদারি করে। পরে লিমুর লাশ বস্তায় মুড়িয়ে মার্কেটের ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়। পুলিশ দোকানের র্যাকে রক্তের দাগ ও লাশ পঁচা গন্ধের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবারে জন্য খোকনের দুই ভাই ও ২ কর্মচারীকে আটক করে। পরে রোববার খোকনকে টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, খোকন আদালতে স্বীকরোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিখোঁজের ৪ দিনের মাথায় লাশ উদ্ধারের পর লিমুর বাবা বাদী হয়ে খোকনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে উল্লেখ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: