মুন্সীগঞ্জ লাইভ: লিমা আক্তার লিমু। গত ৫ দিন আগে কাপড় কেনার কথা বলে নিখোঁজ হন তিনি। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ৩দিন পর ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরদিনই মিললো লিমুর খবর। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে, তবে জীবিত নয় লাশ হয়ে এসেছে সে।
শ্রীনগরের ওই ছাত্রীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছে। এরইমধ্যে পরকীয়ার সন্দেহই বারবার ঘুরেফিরে আসছে। গত শুক্রবার উপজেলার বাড়ৈখালী বাজারের চাঁন সুপার মার্কেটের নীচ থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় লিমা আক্তার লিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ একটি দোকানে রক্তের দাগ ও পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ককে সামনে রেখে হত্যার রহস্য উঘাটনের চেষ্টা করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁন মার্কেটের দর্জি ঘর নামে কাপড়ের দোকানে রক্তের দাগ দেখে ওই দোকানের মালিক খোকনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে খোকন পলাতক রয়েছে।
বাড়ৈখালী বাজারের একাধিক দোকানদার জানান, লিমু প্রায় সময়ই ওই দোকানে যাতায়াত করত। খোকন ও লিমুর আচরণ নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক নিয়ে বিরোধের জের ধরে লিমুকে খুন করা হতে পারে। খোকনের বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার পাউসার গ্রামে। তার দুই ছেলে রয়েছে। অপরদিকে লিমুর মা মারা যাওয়ায় বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। লিমু স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোকনের ভাই লিটন ও সুজনসহ দোকানের ২ কর্মচারীকে আটক করেছে। এঘটনায় লিমুর বাবা বাড়ৈখালী গ্রামের আ: মতিন বাদী হয়ে এজাহারে খোকনের নাম উলেখ করে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো: মাসুুর রহমান জানান, মামলার আসামি খোকনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উলেখ্য, লিমু ৫ দিন আগে কাপড় কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৩ দিন পর লিমুর বাবা বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পরদিন হাত পাঁ বাধা অবস্থায় লিমুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঢাকা, ০১ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: