Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শিক্ষককে ডেকে নিয়ে হাতুরি দিয়ে পিঠিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ৩০ আগষ্ট ২০১৮, ০২:১৫

                                                প্রতিকি ছবি

মুন্সীগঞ্জ লাইভ: নির্মম। নিষ্টুর। আপন চাচাতো ভাই তার অপর চাচাতো ভাইকে হাতুরী দিয়ে পিঠিয়ে হত্যা করেছে। এনিয়ে এলাকায় চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। নিহতের নাম ক্বারী মো.আওলাদ হোসেন (৫৫)। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।

পুলিশ জানায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আজিমপুরায় মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। লেন দেনের বিরোধের জেরে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে তার চাচাত ভাই তাইজুল শেখ হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত আওলাদ স্থানীয় চুরাইন আনোয়ারুল উলম রহমানিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।

জেলার হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জিল্লুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, উপজেলার আজিমপুরা এলাকায় মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে আওলাদের চাচাত ভাই তাইজেল শেখকে গ্রেফতার করে । তাইজুলের (৪৫) বাড়িও ওই আজিমপুরা এলাকাতেই।

আওলাদ হত্যার কথা তাইজুল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। এমনি জানিয়েছেন এসআই জিল্লুররহমান। পুলিশ আরও জানায়, আওয়ালের কাছে তাইজুল ৮০ হাজার টাকা পেতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে এক পর্যায়ে তাইজুল হাতুড়ি দিয়ে আওয়ালের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।

আওলাদের স্ত্রী সাহিদা বেগম পুলিশকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে খাওয়া শেষ করে ঘরে বসে হিসাব-নিকাশ করছিলেন আওলাদ। ৯টার দিকে চাচাতো ভাই তাইজুল মোবাইল করে তাকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকেই আওলাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

সাহিদা বেগম স্বামীর খোজে তাইজুলের বাড়ির দিকে যান। এ সময় তাইজুল বাড়ির পাশের পুকুরের ঘাটলায় রক্ত পরিষ্কার করছিলেন। এ ছাড়া ঘাটলায় রক্তের চিহ্ন দেখতে পান সাহিদা। এ সময় তাইজুলকে আওলাদ হোসেনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। কিন্তু সাহিদার সন্দেহ হয়। পরে তিনি লোকজনকে ডাকেন।

এলাকাবাসী তাইজুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তাইজুলের বাড়ির বিছানা-বালিশে রক্ত দেখতে পান লোকজন আর মরদেহটি পুকুরের কচুরিপানার ভিতরে পাওয়া যায়। সাহিদা বেগম আরো বলেন, ‘তাইজুল আমার স্বামীর ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি ও সুনাম মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই বাড়িতে ডেকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অজ্ঞান করে এবং পরে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করে।’

এলাকাবাসী জানান, আওলাদ হোসেন নিরিহ প্রকৃতির লোক ছিলেন। তার সঙ্গে তেমন কারো বিরোধ ছিলনা। কিন্তু অন্যদিকে তাইজুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

ঢাকা, ২৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ