নরসিংদী লাইভ : সন্ত্রাসীদের হামলার ভয় থেকেই ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছেন স্কুলছাত্র। মৃত্যুর আগে তিনি ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জালে লিখেছেন ‘আমি এখন ফাঁসিতে ঝুলবো। কারণ তারা আমাকে মার্ডার করে ফেলবে। সন্ত্রাসীরা আমার আব্বুকেও অপমান করেছে। আমার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবো। দেখা হবে কবরে।’ এর পরেই সব শেষ। নিজেকে বিসর্জন দিয়ে ওই ছাত্র চলে গেছে না ফেরার দেশে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ হবে এই প্রত্যাশায় আত্মহত্যার ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছে ওই ছাত্র। মঙ্গলবার ভোরে নরসিংদী পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে নরসিংদী জেলায়। এঘটনায় হত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ওই ছাত্রের বাবা ৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
নিহত নাজমুল আহাম্মেদ নিহাত দত্তপাড়া এলাকার কবির আহাম্মেদের ছেলে। সে নরসিংদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। নরসিংদী শহর ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ঈদের দুই দিন পর বিকেলে নিহাত তার বন্ধুদের নিয়ে পাশের বাড়ির বারবি কিউ পার্টি করতে যায়। একই সময় এলাকার সন্ত্রাসী তুষার, জুম্মান রাব্বি, রূপক সেখানে যায়। এসময় নিহাত তাদের চলে যেতে বলেন। তাতে তারা রাজি হয়নি। ওই সময় বাড়ীর মালিক সবাইকে ছাদ থেকে নামিয়ে দেয়। এতে নিহত নাজমুল আহাম্মেদ নিহাতের উপর ক্ষিপ্ত হয় সন্ত্রাসীরা।
এরই জের ধরে সন্ত্রাসীরা নিহাতকে মারপিট করেন। খবর পেয়ে নিহাতের মা-বাবা ও দাদা-দাদি সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের সবাইকে এলোপাথাড়ি মারপিট করেন। পরে মনের দু:খে ভোর রাতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ওই ছাত্রের বাবা কবির আহাম্মেদ বলেন, সন্ত্রাসী তুষার, জুম্মান রাব্বি, রূপকের কারণেই আমার ছেলে মারা গেছে। আমি সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
ঢাকা, ২৯ অাগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: