লাইভ প্রতিবেদক: ছোট্র একটি প্রতিবাদ। কলেজ ছাত্র চলে গেল না ফেরার দেশে। এই ছেলেটি আর কোনদিন প্রতিবাদ করতে আসবে না। মেধাবী মুখের সন্ধান মিলবে না কোনদিন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় মেধাবী মারুফ খানকে (২০) খুন করা হয়েছে।
এলাকার বখাটেদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন মারুফ। নিহত মারুফ এ বছর ঢাকার মিরপুর কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আসাদুল নামে একজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর সঙ্গে আরও কয়জন জড়িত রয়েছে বলেও জানাগেছে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে সাভার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা করছে বলে জানাগেছে।
পুলিশ আরও জানায়, ২১ আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় মারুফের।
নিহত মারুফ সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা মহল্লার আতাউর রহমান খান আলমগীরের ছেলে।
সাভার থানার পরিদর্শক বুলবুল আহমেদ বলেন, রাজাবাড়ি এলাকায় এক তরুণীকে মঞ্জু ও শ্যামলসহ কয়েকজন বখাটে উত্ত্যক্ত করলে মারুফ এর প্রতিবাদ করে।
পরে গেন্ডা এলাকায় মারুফকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনিষ্টিটিউটে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অপূর্ব ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, বুধবার সকালে নিহতের বড়ভাই বাদী হয়ে তালবাগ ও টিয়াবাড়ি মহল্লার মঞ্জু, শ্যামল, প্লাবন, মমিন, শামীম, রইছ, আসাদুল, মুক্তাদিন, ইমরানের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকারীদের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে রয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তবে কোথায় কোন মেয়েকে যৌন হয়রানি করেছে এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: