টাঙ্গাইল লাইভ : বাবা-মায়ের সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মাদ্রাসা ছাত্রী। উদ্দেশ্য ছিল অজানার পথে পা বাড়ানো। গন্তব্য ঠিক হওয়ার আগেই সর্বনাশা বিপদে পড়লেন ওই ছাত্রী। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। এঘটনায় জড়িত দুই জনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আটকরা হলেন, ভূঞাপুর উপজেলার চরভারই গ্রামের কিসমত আলীর ছেলে হিটলার এবং একই গ্রামের আছার আলীর ছেলে জাহিদ।
ভূঞাপুর থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, ফাজিল মাদ্রাসার প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত ওই ছাত্রী বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে চলে আসে। তিনি বাসস্ট্যান্ড থেকে এলেঙ্গা যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠতে যান। এসময় হিটলার ও জাহিদ তার কাছে এগিয়ে যায়। তারা তাকে এলেঙ্গা পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দেয়। ওই দুইজনের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে মেয়েটি বাসস্ট্যান্ড থেকে শিয়ালকোল নামকস্থানের দিকে হেঁটে রওনা হয়। এসময় ওই দুই জন তার পিছু নেয়। মেয়েটি পুখুরিয়া শিয়ালকোল এলাকায় পৌছলে সেখানে নির্জন একটি ইট ভাটার কাছে তার মুখ চেপে ধরে। পরে দুইজনে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে এসে জাহিদ ও হিটলার আটক করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতা ওই মেয়ে এবং হিটলারকে থানায় নিয়ে যায়। হিটলারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জাহিদকে রাতেই তার গ্রামের বাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে হিটলার ও জাহিদকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুইজনের বিরুদ্ধেই ধর্ষনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঢাকা, ১৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: