কিশোরগঞ্জ লাইভ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সায়মা। অন্যদিকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়েছেন আদনান। দীর্ঘ প্রেমের সূত্র ধরে তারা একে অপরকে প্রাণভরে সপে দিয়েছেন সবকিছু। ঘুরে বেরিয়েছেন কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। অনেকটা স্বামী-স্ত্রীর মত করেই ডেটিং হয়েছে তার। তাদের ওই প্রেমের গল্প এলাকার মানুষের মুখে মুখে। তবে আলোচিত ওই জুটির ঘর বাঁধা হয়নি। গার্লফ্রেন্ডের অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়ায় প্রেমের পরিণতি হয়েছে বেদনায়। ওই বেদনা মেনে নিতে পারেননি আদনান। গার্লফ্রেন্ডকে হারিয়ে বেছে নিয়েছেন ভয়ংকর পথ। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। মৃত্যুর কয়েকঘন্টা আগে ফেইসবুক স্ট্যাটাসে গার্লফ্রেন্ড ও তার পরিবারের সদস্যদের দোষারোপ করে দিয়ে গেছেন তিনি। তাদের যেন ক্ষমা না করা হয় সেই দাবিও রেখে গেছেন।
তিনি তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘তুমি আর তোমার বাপ মা ভাই লিমন মিলে আমার সাথে বেঈমানি করেছ, আমি আমার মাকে কোনদিন শান্তি দিতে পারি নাই, আম্মা কোনদিন তাদেরকে মাফ কইর না, সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। গত মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে এই স্টাটাসটি লিখে ফাঁসির দড়িতে ঝুলে আত্মত্যার ভয়ংকর পথ বেছে নেন আদনান। তার বাড়ি নরসিংদির রায়পুরা উপজেলা মহেশপুর ইউনিয়নের আলগী গ্রামে। ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকায় তার বাবার পাঁচতলা ভবনে আদনান আত্মহত্যা করেন। বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘটনা অবহিত না করে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করেছেন।
জানা গেছে, আদনানের গার্লফ্রেন্ড সায়মা ধনাঢ্য পরিবারের। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর বাবা তাকে বিয়ে দিয়ে দিলে আদনানের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর পরথেকেই আদনান অনেকটা অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি আত্মহত্যার মতো ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছেন।
[এখানে ছদ্মনামে ছাত্রীর পরিচয় দেয়া হয়েছে]
ঢাকা, ০৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: