পাবনা লাইভ: বয়ফ্রেন্ডের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সম্ভ্রম হারিয়ে অনেকটা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন মিম। অন্তরঙ্গ ছবি দেখিয়ে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে টাকা। তবুও মুক্তি মেলেনি তার। আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে বয়ফ্রেন্ড তাকে প্রায়ই ডেটিংয়ে যেতে বাধ্য করতো। অবশেষে মুক্তি নিয়েছেন মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ওই ছাত্রী। প্রাণ দিয়ে প্রতারক বয়ফ্রেন্ডের বিচার দাবি করেছেন তিনি। বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার ভয়ংকর পথ।
এদিকে সেই প্রতারক বয়ফ্রেন্ডের ছড়িয়ে দেয়া বেশ কয়েকটি রোমান্টিক ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এঘটনায় প্রতারক প্রেমিকের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
জানা যায়, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার মৃধাপাড়া গ্রামের মো. জুলফিকার জামানের মেয়ে মেধাবী ছাত্রী আশরাফী জামান মিমকে একই উপজেলার সাভার গ্রামের মাসুদুজ্জামানের ছেলে আশিকুজ্জামান প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। প্রেমের অভিনয় করে আশিক ওই ছাত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা আদায় করে আসছিলেন।
মিম ঢাকায় ট্রমা মেডিকেল ইনস্টিটিউটে পড়ার সময় আশিক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান। চলতি বছরের ১৪ মার্চ তার এক আত্মীয়র বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আশিক। পরে দুজনের অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন আশিক। এতে মিম মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। বিষয়টি জানার পর মিমের বাবা ঢাকা থেকে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
মেয়ের বাবা এসব ঘটনা ছেলের মা-বাবাকে জানান। এক পর্যায়ে ছেলে ও ছেলের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তারা প্রস্তাব অস্বীকার করে। এদিকে আশিক ঢাকায় মিমের অনুপস্থিতিতে মেসে রাখা স্বর্ণের গহনাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যান।
এদিকে মিম লোক লজ্জার ভয়ে নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। মিমের বাবা বাদী হয়ে ১৫ জুলাই রোববার আশিককে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা, ১৭ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: