ব্রাহ্মণবাড়িয়া লাইভ: আশুগঞ্জের মেঘনা নদীতে নৌকা নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৭ শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গোসলের বাসনা জাগে।
একে একে নেমে পড়েন পানিতে। এসময় তানজিবা বিনতে তানভীর প্রান্তি নামে এক ছাত্রী পানিতে তলিয়ে যান। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার বন্ধু ইশরাকুল মেহরাব। তিনিও একসময় পানিতে তলিয়ে যান।
এসময় অপর বন্ধুরাও একে একে সাহায্য করতে এসে চিৎকার করতে করতে তলিয়ে যেতে থাকেন। এসময় স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করেন। তবে নিখোঁজ হয়ে যান প্রাপ্তি ও ইশরাক। রোববার সকালে প্রাপ্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে মেঘনা পাড়।
এদিকে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইশরাকের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা জানা যাচ্ছে না। তাকে উদ্ধারে ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশুগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা জানান সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যে ডুবুরি ল ও নৌ বাহিনীর ১২ সস্য উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, শনিবার সকালে ঢাকা থেকে তানজিবা ও ইশরাকুলসহ নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষার্থী কিশোরগঞ্জে ভৈরবে ঘুরতে আসেন। সারা দিন তারা ভৈরব রেলসেতু ও আশপাশ এলাকা ঘুরে বিকেলে আশুগঞ্জে চরসোনারামপুরে যান।
সেখানে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে তানজিবা ডুবে যান। তাকে বাঁচাতে ইশরাকুলও নদীতে নেমে ডুবে যান। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য বাকি পাঁচ শিক্ষার্থী নদীতে নামলে একে একে তারাও ডুবে যান। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন।
ঢাকা, ১৫ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: