Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

‘ছাত্র সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণে না আনলে ঢাবি সন্ত্রাসের কেন্দ্রে পরিণত হবে’

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০১৮, ০৩:০৩

ঢাবি লাইভ: এবার দীর্ঘদিন পর একটি বাস্তব ও সত্য কথা বলায় আলোচনায় স্থান পেয়েছেন জাতীয় প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। তিনি ছাত্র সংগঠন নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণে না আনলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সন্ত্রাসের কেন্দ্রে পরিণত হবে। হারাবে সব ধরনের ঐতিহ্যও হারাবে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (কারাস) মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তিকে সামনে রেখে প্রণীত 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকান্ড-: সেকাল একাল' শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সার্বিক পরামর্শে সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সম্পাদনায় এ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। কারাস থেকে প্রকাশিত এটি প্রথম গ্রন্থ। গ্রন্থটি মোট ছয়টি অধ্যায়ে সাজানো। বইটি কারাস এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থার বিপনন শাখায় পাওয়া যাবে।

ওই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেন, আমাদের সময়ে সংস্কৃতি চর্চা শুধু নিছক বিনোদন ছিল না, এটি ছিল আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার। তখন যে মানের সংস্কৃতি চর্চা হত, এখন তা দেখা যায় না। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা শুরু করেছি। ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভবিষ্যত এটি আরো সম্প্রসারণ করা হবে।

এদিকে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জাসান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা ফেরাতে হলে আমাদের আমাদের প্রথম কাজটা হবে আবাসিক হলগুলো এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ফিরিয়ে আনা। তাহলে তারাই পাঠ্যাতিরিক্ত যে কর্মসূচী সেটাকে নতুন করে প্রাণ দিতে পারবে।

তাহলে আমাদের আবার নানা ক্ষেত্রে ছাত্রদের চর্চা ও বিকাশের সুযোগ ফিরে আসবে। এর পর দ্বিতীয় কাজটি হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। নইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস ও সংঘাতের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। যদি আমরা এর থেকে মুক্ত হতে না পারি তাহিলে খালি অতীত গৌরবের গান করে সামনে এগুনো যাবে না।

এছাড়া ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, কিছুদিন আগে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ণয় করে তার গবেষণা।' বর্তমানে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২১৩২। আগে এখানে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেয়া হতো, মানের সঙ্গে কোনো আপোষ করা হতো না।

ফলে আগে এই বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার মান অনেক ভালো ছিলো। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক আছে। অ্যালামনাইয়ের এই সভাপতি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন হল ভিত্তিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে চেয়েছিলাম। কয়েকটি হলে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। অ্যালামনাইয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

একে আজাদ বলেন, প্রতিবছর মাত্র ২০০০ শিক্ষার্থী বিসিএস এ চাকরি পায়। নন-ক্যাডারসহ অন্যান্য সরকারী ক্ষেত্রে ২৫০০০ জনের কর্মসংস্থান সম্ভব হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরে মাত্র ১০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হলেও বাকিরা বেকার থেকে যায়। এসময় র‌্যাঙ্কিং ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন শিক্ষার্থী চাকরি পায় সেগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য কারাস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।

এতে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, কারাস এর পরিচালক ও গ্রন্থটির সম্পাদক অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম প্রমুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকসহ বিভিন্ন গুণীজন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলাওয়ার হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই আসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ প্রমুখ। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি দরকার। তিনি ডাকসুর কথা সরাসরি না বললেও নির্বাচিতদের দায়িত্বনিয়ে কথা বলেছেন।

 

ঢাকা, ০৪ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ