লাইভ প্রতিবেদক: কোটা সংস্কারে প্রজ্ঞাপনরে দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের একের পর এক হামলার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। এঘটনার জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এসব হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা সঙ্কট তৈরি হয়েছে। মারধর থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো দায়িত্ব পালন করেনি। এ অবস্থায় তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। মঙ্গলবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী’র ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে আন্দোলনকারীরা ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দে নইলে পদ ছেড়ে দে’, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাস থেকে শিক্ষা বাচাঁও,’ ‘আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার বিচার চাই,’ ‘আন্দোলনের সাথে প্রহসন বন্ধ কর, যৌক্তিক সংস্কার কর,’ ইত্যাদি ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে বিশ্বধর্ম ও সাংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া অনিমেষ বলেন, গত দুইদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। তখন প্রশাসন চুপ ছিল। তারা কোনো পদক্ষেপ নেইনি। প্রশাসন নৈতিকভাবে যে জায়গায় আছে সেখানে থেকে চুপ করে থাকা তাদের অধিকার নেই বলে মনে করেন তিনি।
অনিমেষ বলেন, প্রক্টর বলেছেন কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবেন। অথচ এদিকে গতকাল ছাত্রলীগের হামলার পর অনেকেই গুরুত্বর আহত হয়েছেন। কাউকে গুম করা হয়েছে। কারা অভিযোগ করবে। এগুলো প্রশাসন দেখে না।
সালমান ফারসি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, গত ১০ বছরে ছাত্রলীগের কেউ আহত হয়নি। তারা অন্যদের মারধর করে আহত করছেন। এতে তাদের কোনো বিচারও করে না প্রশাসন।
উম্মে হাবিবা বেনজির বলেন, গত দুইদিন ক্যাম্পাস খুলতে না খুলতেই ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডকে আইয়ুব খানের এন এস এফকে ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
প্রক্টরের বক্তব্যের সমালোচনা হাবিবা বলেন, প্রক্টর গত শনিবারের ঘটনায় বলেছেন ক্যাম্পাস ছুটি ছিল। তিনি কিছু জানতেন না। তার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অথচ প্রক্টরের দায়িত্ব ক্যাম্পাসে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ঢাকা, ০৩ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: