লাইভ প্রতিবেদক : সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের ১৫তম ব্যাচের ছাত্রী প্রিয়াংকা পাল না ফেরার দেশে চলে গেছেন। দীর্ঘ আট বছর প্রেম করেও বয়ফ্রেন্ড অমিতকে বিয়ে করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছেন। আর মৃত্যুর আগে তিনি ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে গেছেন। যে স্ট্যাটাসে তার বয়ফ্রেন্ডসহ তার পরিবারের সদস্যদের দায়ি করে তাদের ছবি আপলোড করেছেন। প্রিয়াংকা লিখেন, আমার আত্মহত্যার জন্য এরা দায়ী।
মৃত্যুর অাগে প্রিয়াংকার কাছের মানুষরা ওই স্ট্যাটাস দেখে তার বাসায় ফোন করেন। কিন্তু এর আগেই সব শেষ প্রিয়াংকার কর্মস্থলে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তার পরিবারের সদস্যরা। ধামরাইয়ের কালামপুরে অবস্থিত এনজিও প্রতিষ্ঠান সজাগের সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্রিয়াংকা। সজাগের অফিসের একটি কক্ষ থেকে প্রিয়াংকার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, প্রিয়াংকার সঙ্গে অমিতের দীর্ঘ আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের কথা বলতেই এনিয়ে শুরু হয় বিপত্তি। প্রথমে বয়ফ্রেন্ডের পরিবার পরে স্বয়ং বয়ফ্রেন্ড তার ঘর বাঁধার স্বপ্ন নাশ করে দিয়েছেন। যোগাযোগ বন্ধ করে অবজ্ঞা করতে শুরু করে ওই বয়ফ্রেন্ড। বিষয়টি সইতে না পেরে না ফেরার দেশে চলে গেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের ১৫তম ব্যাচের ছাত্রী প্রিয়াংকা পাল। গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রোববার (০১ জুলাই) তিনি আত্মহত্যার ভয়ংকর পথ বেছে নেন। নিহত প্রিয়াংকার গ্রামের বাড়ি ঢাকার ধামরাই থানার পাঠানতলা গ্রামে।
ঢাকা, ০২ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: