Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই রেজিস্ট্রার চাকরিচ্যুত

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৮, ০২:০৯

ঢাবি লাইভ: দীর্ঘ দিন পর অ্যাকশনে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। নানান ঘটনা, রটনা, তদবীর, সুপারিশের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চাকরিচূতি করা হয়েছে ঢাবির রেজিষ্টার সৈয়দ রেজাউর রহমানকে। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত ছিল প্রশাসন। ঢাবির ৯৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মরণিকায় ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। প্রমাণ হয়েছে ওই রেজিস্ট্রার ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এমনটি ভিসিও এবিষয়ে মতামত ছিয়েছেন।

সিন্ডিকেটের এই সভায় চলতি বছরের ২৬ মার্চ একটি দৈনিক পত্রিকায় ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে আনা হয়। পরে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মরণিকায় ‘স্মৃতি অম্লান’ শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ক্ষেত্রে জেনারেল জিয়াকে ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে স্মরণিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে লেখা হয়, তিনি বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা, যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত।

বিষয়টি নজরে আসার পর স্মরণিকাটি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে স্মরণিকার সম্পাদক ও ওই নিবন্ধের লেখক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেন ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

ওই ঘটনায় সেদিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ এবং উপাচার্যের গাড়ি ভাংচুর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরপর ২১ জুলাই সার্বিক ঘটনা তদন্তের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ কামাল উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্য ছিলেন আর্থ এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন, সিনেট সদস্য বাহালুল মজনুন চুন্নু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী এএফএম মেজবাহ উদ্দিন।

দীর্ঘ তদন্তের পর সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা, পর্যালোচনা ও যুক্তি তর্ক হয়। অবশেষে চারিচ্যুতির ব্যাপারে সর্ব সম্মতি ক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।


ঢাকা, ২৮ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ