লাইভ প্রতিবেদক : ‘আমাকে পরপর দুইটা নাম্বার থেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। বলেছে, সুন্দর ছেলে, বাসা থেকে বের হবা, আর খুঁজে পাওয়া যাবে না তোমাকে। মানুষ বাইক নিয়ে হঠাৎ এক্সিডেন্ট করে মরে যায় কিন্তু। তুমি আর বেশিদিন টিকবা না। বাবা মায়ের কাছে মাফ চেয়ে নাও। আরো অনেককিছু। আমাকে মেরে ফেললে আমার পরিবারটাকে আপনারা একটু দেখিয়েন। আব্বা নাই আমার। আমার উপর আমার মায়ের খুব আশা।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা এপিএম সোহেলের ফেইসবুক পোস্ট এটি। গত ১৬ মে তিনি ফেইসবুকে এমন দিয়ে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানান দিয়েছিলেন।
ওই পোস্টের ৮ দিনের মাথায় হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। বুধবার বিকেলে পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে হামলার শিকার হন সোহেল। সোহেল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক।
মূল ফটকের বাইরে আসলে সন্ত্রাসীদের ১০/১২ জন তার উপর হামলা চালায় বলে দাবি করেন সোহেল। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি এখন রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, আহত সোহেল আমাদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক। বিকাল ৩টার দিকে তার উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। রড ও লাঠির আঘাতে সোহেলের ঠোঁট ও নাক ফেটে গেছে। তাছাড়া পা ও পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঠোঁটে পাঁচটি সেলাই করা হয়েছে। সে এখন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি আছে।
নয়ন আরও জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণেই তার উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। আমরা এ হামলা নিন্দা জানাচ্ছি এবং দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি করছি।
আহত ওই ছাত্রের অভিযোগ কোটা সংস্কার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ায় তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কোটা সংস্কার কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হামলা চালানো হয়েছে "মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়" শাখার সভাপতির নেতৃত্বে।
ঢাকা, ২৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: