Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ঢাবির সেই ছাত্রীর মার্কশিট ফেরত দেয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: ৯ মে ২০১৮, ০৮:৪৯

ঢাবি লাইভ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের সেই ছাত্রীর মার্ক শিট ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। আর তাতেও যদি ফেল আসে তাহলে তাকে আবার পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে। ঢাবির ওই ছাত্রীকে অষ্টম সেমিস্টারে ৩ কোর্সে ফেল করার পরেও অনার্সে ফাইনাল ইয়ারে পাস দেয়া হয়েছে। তিনি ফেল করে অষ্টম সেমিস্টারে জিপিএ পেয়েছেন ০.৬৯। তার সিজিপিএ এসেছে ৩.০০।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিয়াজি অপদস্থ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী সব কোর্সে পাস না করবে তার ফাইনাল ইয়ারে ফলাফল স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ তাকে অনার্স পাস ঘোষণা করা হবে না। কিন্তু এই ছাত্রীকে অনার্স পাস করিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সে চাইলেই এখন সার্টিফিকেট তুলতে পারবে এবং সে এখন একজন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ওই ছাত্রী যেসব কোর্সে ফেল করেছেন তা হলোঃ 405-Mordern Muslim world and Globalization, 406-Development of Muslim Art and Architecture and 408- Muslim historiography.

এ বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আতাউর রহমান মিয়াজী বলেন, এরকম তো হওয়ার কথা না। কোন কোর্সে কেউ ফেল করলে তাকে তো অনার্স পাস করানোর কোন নিয়ম নাই। তার জিপিএ আসবে এবং ফাইনাল ইয়ারে ফলাফল স্থগিত থাকবে। কিন্তু সে যখন আবার পরীক্ষা দিয়ে পাস করবে তখন তাকে অনার্স পাস দেয়া যাবে।

তিনি বলেন, ভুল হতে পারে। তা সংশোধনযোগ্য। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ভুল বিভাগ থেকেও হতে পারে আবার রেজিস্ট্রার অফিস থেকেও হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে মনগড়াভাবে সিজিপিএ দেয়া হয়েছে। ফলাফল ৬ মাস পর ৩০ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়েছে। এত সময় নিয়েও কীভাবে এত ভুল হতে পারে। এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের নানানভাবে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেন এবং গুরুত্ব দেননি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে তাদের সজিপিএ আরও বেশি আসার কথা কিন্তু ফলাফল নিয়ে অবহেলা করায় তাদের সিজিপিএ ও কমে গেছে।

এ বিষয়ে বিভাগটির চেয়রাম্যান বলেন, ফাইনাল ইয়ারে ৮টি সেমিস্টারের ভাইভার ফলাফল যোগ হয়। এতে সিজিপিএ কমতেই পারে। এটা স্বাভাবিক। তবে ৩ কোর্সে ফেল করা ওই ছাত্রীর পাস করার কথা না। তার ফলাফল যাচাই করা হবে।

এর আগে ২০১২-১৩ সেশনের ৭ম ব্যাচের প্রথম সেমিস্টারের এক কোর্সে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা না দেয়ার পরেও তাদের নাম্বার দেয়া হয়। এর ফলে তখন ফলাফল সংশোধন করা হয়। আর তাতে এই ব্যাচটি এক সেমিস্টার পিছিয়ে যায়।

ঢাকা, ০৯ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ