বরিশাল লাইভ : মেডিকেল কলেজ থেকে এবার চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। গত ৫ মার্চ তার পরীক্ষা শেষ হয়। গোপালগঞ্জের সাহেরা খাতুন মেডিকেলের ওই ছাত্র গিয়েছিলেন নেপালের কাঠমান্ডুতে। সেখানে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন তিনি।
বলছি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বরিশালের পিয়াস রায়ের কথা। তার মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ স্বজনসহ বন্ধুরা। ২০১০ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে প্রথমস্থান অধিকার করে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন পিয়াস। এইচএসসিতে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন গোপালগঞ্জের সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজে। কদিন বাদেই তিনি চিকিৎসক হতেন। এর আগেই সব শেষ। বিমান দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন তিনি।
পিয়াসের বন্ধু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স কমিউনিকেশনের শেষবর্ষের ছাত্র শোয়েব বলেন, ‘আমরা একসঙ্গেই এই স্কুলে পড়াশোনা করতাম। সবার সঙ্গেই বন্ধুসুলভ আচরণ করত পিয়াস। যে কারণে স্কুলে তার অনেক সুনামও ছিল। স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আমরা বিভিন্ন স্থানে চলে গেলেও আত্মার বন্ধন ছিল পিয়াসের সঙ্গে।’
পিয়াসের আরেক বন্ধু সোহরাব খান বলেন, বলা চলে স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় থেকেই পিয়াসের সঙ্গে বন্ধুত্ব। পিয়াসের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না।
পিয়াস রায়ের মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় বরিশালে নিজ বাসায় পৌঁছায়। শুক্রবার সকাল ৭টায় তার মৃতদেহ নেয়া হয় বরিশাল জিলা স্কুলে। পরে তার দেহ সৎকার করা হয়।
পিয়াসকে দেখতে আসা ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত বন্ধু ইভান জানান, ‘এক কথায় বাকরুদ্ধ আমরা। মৃত্যু সবারই হবে, তবে এমন মৃত্যু মেনে নেয়ার মতো নয়।
শোয়েব সোহরাবদের মত পিয়াসের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন বন্ধুসমাজ।
পিয়াসের এমন মৃত্যু তারা মেনে নিতে পারছেন না।
ঢাকা, ২৫ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: